তাঁর ভাবনায় চীনও

শত বছরের চেষ্টাতেও কোনো বিদেশি শক্তি চীন জয় করতে পারেনি। মহাপ্রাচীরের সুরক্ষা চীনকে করে রেখেছে অজেয়। কিন্তু তিনি, মাত্র দুই দিনেই জিতে নিলেন চীন। যেখানেই যাচ্ছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা, পাচ্ছেন উষ্ণ সংবর্ধনা। জাতীয় দৈনিকগুলোয় ম্যারাডোনাকে দেওয়া হচ্ছে ‘ফুটবলের রাজা’ বিশেষণও। অসহায়দের প্রতি ভালোবাসা বিলাতেই চীনা রেডক্রসের আমন্ত্রণে এসেছেন। কিন্তু ম্যারাডোনা নিজেও কুড়িয়ে নিচ্ছেন শতকোটি মানুষের দেশটির নিখাদ ভালোবাসা।
মূলত দাতব্য কাজেই আসা। কিন্তু ফুটবল তো আর বিচ্ছিন্ন করে রাখা যায় না ম্যারাডোনার কাছ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যারাডোনার কোচিং ক্যারিয়ার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। চীনের কোনো একটা ক্লাব নাকি তাঁকে কোচ হিসেবে পেতে আগ্রহী। সে খবর হাওয়ায় মিলিয়ে যেতেই শোনা যাচ্ছে, ম্যারাডোনা কোচ হচ্ছে চীন জাতীয় দলেরই।
ম্যারাডোনা অবশ্য এটিকে নেহাত গুঞ্জন বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে চীনের কোচ কোনো কালেই হবেন না, এ কথাও জোর দিয়ে বলেননি, ‘চীনের কোচ হব এটা আমার ভাবনায় নেই। তবে হ্যাঁ, যদি কখনো ব্যাপারটি ওঠে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারি। চীনা ফুটবলের জন্য কিছু করতে পারলে আমি খুশিই হব।’
চীনের ফুটবলের রোগটাও যেন এরই মধ্যে কিছুটা ধরতে পেরেছেন আর্জেন্টিনার সাবেক কোচ, ‘বিশ্ব ফুটবলের সঙ্গে চীনের ফুটবলের একটা বিশাল দূরত্ব। সেটাকে বিশ্বমানের করতে হলে অনেক কিছু করতে হবে। ১৩০ কোটি মানুষের দেশ থেকে ১১ জন ভালো ফুটবলার বের হবে না কেন—এ আমি বুঝতেই পারি না। জাতি হিসেবে চীন তো অবশ্যই বিশ্বের অন্যতম শক্তি। আরও অনেক জায়গায় তারা পৃথিবীর সেরা। কেবল পিছিয়ে আছে ফুটবলেই!

No comments

Powered by Blogger.