পাকিস্তানে বন্যায় ৩১৩ জনের প্রাণহানি

পাকিস্তানে গত তিন দিনের বন্যায় গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। টানা বর্ষণের ফলে সৃষ্ট এ বন্যায় গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভূমিধস। যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ১৯২৯ সালের পর পাকিস্তানে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা।
কর্মকর্তারা জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে গ্রামের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে ঠিকমতো উদ্ধারকাজ করতে পারছেন না। পৌঁছতে পারছেন না দুর্গত লোকজনের কাছে। বন্যার কারণে পেশোয়ার ও ইসলামাবাদের মধ্যে সংযোগকারী মহাসড়কটিও বন্ধ রয়েছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও এপির।
ইদি ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় গত তিন দিনে খাইবার পাখতুয়ানখাওয়া প্রদেশে ২৯১ জন প্রাণ হারিয়েছে। গত তিন দিনে এখানে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। কয়েক দশকের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী মিয়া ইফতিখার হোসেন জানিয়েছেন, প্রদেশে গত দুই দিনে প্রায় চার লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের (আজাদ কাশ্মীর) প্রধানমন্ত্রী সরদার আতিক খান জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাঁর এলাকায় বন্যায় ২২ জন মারা গেছে। অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদের অনেক জাযগায় বিদ্যুৎ নেই। সরবরাহ বন্ধ রয়েছে খাওয়ার পানির।
ব্ল্যাকবক্স পাওয়া যায়নি
এপি জানায়, পাকিস্তানে গত বুধবার বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমানটির ব্ল্যাকবক্স এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এটি উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এটি পাওয়া গেলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা। কারণ ফ্লাইটসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ব্ল্যাকবক্সে সংরক্ষিত থাকে। উদ্ধারকারীরা অবশিষ্ট মৃতদেহ ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছেন। বুধবার সকালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ইসলামাবাদের কাছে একটি পার্বত্য এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে এর ১৫২ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়।

No comments

Powered by Blogger.