আকরামকে বিঁধলেন ওয়ার্ন

শেন ওয়ার্নকে কেউ কিছু বলে সহজে পার পেতে পারেন না। ওয়াসিম আকরামও পাচ্ছেন না। সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক অবশ্য সরাসরি ওয়ার্নকে কিছু বলেননি। রাজস্থান, আহমেদাবাদ ও মুম্বাইয়ের ম্যাচগুলোয় শেষের ওভারগুলোতে লাল মাটি ব্যবহার করে বল বিকৃত করছে বোলাররা—এমন অভিযোগ করেছিলেন আকরাম। ব্যাপারটা সহজভাবে নিতে পারেননি রাজস্থান রয়্যালসের কোচ ও অধিনায়ক ওয়ার্ন। অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়েছেন পাল্টা জবাব।
‘আমি জানি না, বল টেম্পারিংয়ের কথা আমি প্রথম শুনছি...আমার মনে হয় ওয়াসিম আমার চেয়ে একটু বেশিই জানে...হয়তো সে এ ব্যাপারে দক্ষ, আমি তো একটুও নই। আমার কোনো ধারণাই নেই। আকরামকে জিজ্ঞেস করতে হবে, হয়তো সে আমাকে সাহায্য করতে পারে’—কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ইডেন গার্ডেনে সাংবাদিকদের বলেছেন ওয়ার্ন। সাবেক অস্ট্রেলিয়া লেগ স্পিনারের ইঙ্গিতটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আকরামসহ পাকিস্তানি পেসারদের বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ বহু পুরোনো। আকারে-ইঙ্গিতে ওয়ার্ন বোঝাতে চেয়েছেন সেটিকেই।
এমনও হতে পারে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে কালকেই শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন ওয়ার্ন। নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জিততে পারেনি ওয়ার্নের দল, আইপিলের সেমিফানালে আর যাওয়া হচ্ছে না রাজস্থানের। আগামী সেপ্টেম্বরে ৪২-এ পা দিতে যাওয়া ক্রিকেট বলতে এখন শুধু আইপিএলটাই খেলছেন ৭০৮টি টেস্ট উইকেটশিকারি বোলার। রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে তাঁর তিন বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে এ বছরই। আগামী আইপিএলে খেলার ব্যাপারে নিশ্চিত নন ওয়ার্ন নিজেই।
চল্লিশে এসেও টি-টোয়েন্টিটা দারুণ উপভোগ করেছেন ওয়ার্ন, জানিয়েছেন শুরুতে একটু সমস্যা হলেও মানিয়ে নিয়েছেন খুব দ্রুতই। ভীষণ গর্বিত তরুণদের গড়ে তুলতে পেরে আর দিকনির্দেশনা দিতে পেরে। তবে এই ‘বুড়ো’ বয়সে খেলার একটা যন্ত্রণাও উপলব্ধি করেছেন, ‘যখন আপনি ভালো করবেন সবাই বলবে সেরা রূপে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। কিন্তু পরের ম্যাচেই আবার খারাপ করলে বলবে ফুরিয়ে গেছেন। ’
তাঁর কোচিং ও অধিনায়কত্বেই গড়পড়তা দল নিয়েও প্রথম আইপিএলে সবাইকে চমকে শিরোপা জিতে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে কোচের প্রায়োজন খুব একটা নেই বলে ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় যে ধারণা পোষণ করে এসেছেন, সেই ভাবনায় পরিবর্তন আসেনি একটুও, ‘আমি বিশ্বাস করি, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে অধিনায়ক, আর কোচ ও ম্যানেজার থাকবেন পেছনে। কোচের মূল কাজ খেলোয়াড়দের মনস্তত্ব বোঝা, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তাদের সেরাটা বের করে নিয়ে আসা। কোচের কাজ কোচিংয়ের চেয়ে বেশি হবে ব্যবস্থাপক ধরনের।’

No comments

Powered by Blogger.