“সাম্প্রদায়িক শক্তির বৃদ্ধি” নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে বাম, কংগ্রেসের দ্বারস্থ তৃণমূল

রাজ্যে “সাম্প্রদায়িক শক্তির বৃদ্ধি” নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব আনত চায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবং এই জন্য বাম, কংগ্রেসকে পাশে চায় তারা। সোমবারই দুই দলের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যে বিজেপি ও আরএসএসের উত্থানের পিছনে বারবার তৃণমূল সরকারের নীতির দিকেই আঙুল তুলেছে বাম ও কংগ্রেস। সেই কারণে, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি তারা। বিধানসভার চলতি অধিবেশনে ১৮৫ নম্বর ধারায় আলোচনা চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণে, তাদের আনা প্রস্তাবকে সমর্থনের জন্য সোমবার সিপিআইএম, কংগ্রেসের কাছে আবেদন জানাল তৃণমূলের পরিষদীয় দল।
পরিষদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সিপিআইএম ও কংগ্রেসের কাছে গিয়েছি। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান নিয়ে বিধানসভায় আমা সর্বদলীয় প্রস্তাব চাই। আমরা চাই, অন্তত সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বিধানসভায় আমরা যেন একসঙ্গে বিরোধিতা করতে পারি”। তিনি আরও বলেন, “আগামিকালের মধ্যে আমরা বিষয়টি ঠিক করে ফেলতে পারব। তৃণমূল, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের ঘরে একটি বৈঠক হবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে”।
রাজ্যের শাসকদলের তরফে আনা এই প্রস্তাবে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। তবে তিনি বলেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের কারণ নিয়েও আলোচনা হোক। আব্দুল মান্নান বলেন, “আমরা চাই, বাংলায় বিজেপির উথ্থানের কারণ নিয়েও আলোচনা হোক। ২০১১-এ বিজেপির ৫-৬ শতাংশ ভোট ছিল, আট বছরের মধ্যে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০.৫ শতাংশ। এর জন্য কে দায়ী? তৃণমূলের, বিরোধীদের মুছে ফেলার নীতির জন্যই বিজেপি এ রাজ্যে জায়গা পেয়েছে”।
আব্দুল মান্নান আরও বলেন, “আমরা শুধুমাত্র তৃণমূলের প্রস্তাবে সাক্ষর করতে এখানে আসিনি। যদি তারা কারণ নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়, আমরা এটা নিয়ে ভাবব”।
আব্দুল মান্নানের সুর শোনা গিয়েছে বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। প্রস্তাবে তাঁরা বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা। রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে গত সপ্তাহে বাম, কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দুই দলই, তাঁর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তাদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতির জন্যই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের উথ্থান ঘটেছে।

No comments

Powered by Blogger.