বাগান থেকে কাপে আসার গল্প

সিলেটের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু চা বাগান৷ সেসব বাগান থেকে চা কাপে আসতে বেশ কয়েক ধাপ পেরতে হয়। তার পরই মেলে শরীর-মনকে প্রশান্তি করা এই পানীয়। সেই গল্পই শুনুন এখানে-
চা বাগান
চা বোর্ডের হিসেবে পুরো বাংলাদেশে চা বাগান রয়েছে মোট ১৬২টি৷ তার মধ্যে শ্রীমঙ্গলের বাগানসহ মৌলভীবাজার জেলায় মোট বাগানের সংখ্যা ৯০টির মতো৷
চা শ্রমিক
সেই কাক ডাকা ভোরে উঠে চা শ্রমিকরা পাতা তুলতে শুরু করেন৷ যার চা পাতার ঝুলির ওজন বেশি হয়, তিনি পারশ্রমিক বেশি পান৷ তাই তাদের মধ্যে সব সময় থাকে এক ধরনের তাড়া কাজ করে৷
চা কন্যা
চা শ্রমিকদের মধ্যে নারীই বেশি৷ চা শ্রমিক, চা শিল্পী, চা কন্যা বা পাতিয়ালী – যে নামেই তাদের ডাকা হোক না কেন, তারা কঠোর পরিশ্রমী৷
এবার মাপার পালা
পাতা তোলার পর কে কতটা তুলেছেন তা মাপা হয় বাগানেরই কাছের ছোট এক কুটিরে৷ চা পাতার ওজন অনুপাতেই শ্রমিকরা তাদের পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন৷ পাতা মাপার পর এক ফাঁকে ঝটপট বাড়ি থেকে নিয়ে আসা নাস্তাটা তারা সেরে নেন৷ আবার যে বাগানে যেতে হবে!
কারখানায় যাচ্ছে পাতা
চার মাপার পর পাতা নেয়া হয় কারখানায়৷
মেশিনে প্রসেস করা চা
পাতা বহমান
কারখানায় পৌঁছানোর পর ছোট ছোট ব্যগে করে ইলেক্ট্রিক মেশিনের সাহায্যে ঘুরে ঘুরে পাতা যায় আরেক জায়গায়৷
ছড়ানো পাতা
এখানে পাতাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে পরিস্কার করে বেছে নেয়া হয়৷
পাতার সোঁদা গন্ধ
পাতা পরিস্কারের পর নেয়া হয় মেশিনে৷ কয়েকটি মেশিনে একসাথে কাজ হয়৷ মেশিনে ‘প্রসেস’ হওয়ার সময় সবুজ পাতা কেমন যেন এক সোঁদা আর মিষ্টি গন্ধ ছড়ায়৷
বদলে যায় রঙ
এবার চা পাতা শুকানোর পালা৷ এরই মধ্যে এই মেশিনের গরম তাপে চা পাতার রঙ বদলে গিয়ে গাঢ় বাদামী হয়ে যায়৷ চা বাগানে ঘোরাঘুরির পর তৈরি গরম চায়ের গন্ধ, চেহারা আর হাত দিয়ে ধরে দেখার অনুভূতি কিন্তু চা প্রেমীদের কাছে দারুণ রোমাঞ্চকর!
গুণগত মান পরীক্ষা
গুড়ো চা শুকিয়ে যাওয়ার পর এবার গুণগত মান পরীক্ষার পালা৷ চা টেস্টের পর সব ঠিক থাকলেই কেবল তা বড় বড় বস্তায় ভরে প্যাকিং এবং রফতানির জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রামে৷
‘চা’ এলো কাপে
চট্টগ্রামের কারখানা থেকে প্যাকেট হয়ে বাজারে আসে চা৷ তারপর তো দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সেই চা আমাদের কাপে৷ ‘চা’-এর তুলনা শুধু চা-ই৷

No comments

Powered by Blogger.