অবৈধ অভিবাসী নিয়ে ট্রাম্পের সুর আরও চড়া

 যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের শতভাগ খরচ মেক্সিকোকেই দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার আরিজোনা রাজ্যের জনসভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের অভিবাসন নীতি ঘোষণার সময় এ ব্যাপারে তার আগের কড়া অবস্থানে অনঢ় থাকেন এ রিপাবলিকান নেতা। সিএনএন জানায়, এ ভাষণের কয়েক ঘণ্টা আগে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকো পিনা নিয়েতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠক শেষে দেয়াল নির্মাণের ব্যয়-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি। তবে পরে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, তিনি ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তার দেশ কোনো অর্থ পরিশোধ করবে না। অভিবাসীদের ব্যাপারে আরিজোনার জনসভায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দেশের বসবাসরত সবার সঙ্গে উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করব। কিন্তু যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদের সবাইকে বহিষ্কার করা হবে। কারণ আইনে এমনটিই বলা হয়েছে।’ সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং এ সংক্রান্ত আইনের সংস্কার করে মার্কিনিদের জীবনকে আরও উন্নত করতে এবারের নির্বাচনই শেষ সুযোগ বলে অভিহিত করেন তিনি। বিবিসি জানায়,
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার নির্বাচনী এজেন্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে দেয়াল নির্মাণের পুরো অর্থ মেক্সিকোর কাছে দাবি করেন তিনি। কথিত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকানোর জন্য এ সীমান্ত দেয়াল নির্মাণ করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে বলে জানান ট্রাম্প। এর আগে নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকান অভিবাসীদের ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘ধর্ষক’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেন এ রিপাবলিকান প্রার্থী। তবে সম্প্রতি ধারণা করা হচ্ছিল আরিজোনার অভিবাসন বিষয়ক বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসীকে বহিষ্কারের পরিকল্পনা থেকে সরে আসবেন ট্রাম্প। কিন্তু আরিজোনা রাজ্যের ফনিক্সের দেয়া বক্তৃতায় ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের পরিণতি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নয় এবং ‘অপরাধী বিদেশীদের’ বহিষ্কার করাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। ট্রাম্প বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। নিজের অভিবাসন নীতি প্রসঙ্গে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ‘আদর্শিক পরীক্ষা’য় উত্তীর্ণ হলেই তাদের আবেদন বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, আদর্শিক পরীক্ষায় অনার কিলিং, নারী, সমকামী ও সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে শ্রদ্ধা এবং উগ্র ইসলামপন্থার ব্যাপারে মনোভাবের বিষয়টি যাচাই করা হবে।যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য উদ্বেগ জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের কারণে আমাদের শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান, মজুরি, গৃহায়ণ, শিক্ষা, করসহ সাধারণ জীবনমান প্রভাবিত হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.