বন্ধুভাবাপন্ন বেলজিয়ান কোচে মজেছেন মামুনুল

‘কোচ টম সেন্টফিট অত্যন্ত বন্ধুভাবাপন্ন। বল নিয়ে এবং বল ছাড়া ট্রেনিং করিয়েছেন। আমরা খুবই ভালো অনুভব করেছি’, বললেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। জাতীয় ফুটবল দলকে দু’দিনে তিন সেশন অনুশীলন করিয়েছেন সেন্টফিট। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পাঁচ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের দ্বিতীয় দিন ছিল। নতুন বেলজিয়ান কোচ নিয়ে মামুনুলের কথা, ‘ফুটবলারদের সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন কোচ। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলছেন। ভালো-মন্দ সবকিছু জেনে নিচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশে অনেক বিদেশী কোচের অধীনে অনুশীলন করেছি। হয়তো শুধু খেলার পদ্ধতিটাই পরিবর্তন হয়। বাকি সব একই তাদের। লাতিন কোচরা একটু ভিন্ন। দৌড় (রান) পছন্দ করেন তারা। অ্যাথলেটদের রানিং করানোর মতো। তাদের বাকি সব কিন্তু একই। ইউরোপীয় কোচদের মতো।’
মামুনুল যোগ করেন, ‘সেন্টফিট বন্ধুভাবাপন্ন। বলেন, যদি কারও ব্যথা থাকে সে যেন সরাসরি তাকে বলে। তিনি বিশ্রাম দেবেন। কিন্তু কেউ যদি ব্যথা নিয়ে অনুশীলন করে পরে বলে যে ব্যথা নিয়ে ট্রেনিং করেছি, তাহলে সেটি হবে শৃংখলাবিরোধী।’ কোচের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে মামুনুল বলেন, ‘কোচ বলে দিয়েছেন, তিন টাচেও গোল করা যায়। যত তাড়াতাড়ি ফিনিশ করা যায়, ততই মঙ্গল। এতদিন আমরা একজন স্ট্রাইকার নিয়ে খেলতাম। কোচ যেভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাতে তার সিস্টেমে ট্যাকটিক্যালি আগের মতোই রয়েছে। ফরমেশনে কিছু এদিক-ওদিক হতে পারে।’ সাবেক কোচ ক্রুইফ সেন্টফিটের মধ্যে পার্থক্য কী? মামুনুল বলেন, ‘ক্রুইফের সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে সময় লেগেছিল প্রায় ছয় মাসের মতো। তাকে ভয় পেতাম আমরা। একটা সময় সেই সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বাবা হিসেবে তিনি শাসন করতেন। আমার নিজের বাবার সঙ্গে যেভাবে কথা বলতাম সেভাবে তার সঙ্গেও কথা হতো। শুধু আমি নই, দলের সবার সঙ্গেই তার সম্পর্ক এমনই ছিল। নতুন কোচকে যতটুকু দেখেছি, তিনি বন্ধুবৎসল। যেভাবে আমাদের বলেন, সেভাবে যদি করতে না পারি তবে আমাদের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’ মামুনুলের কথা, ‘আমাদের পরবর্তী ম্যাচ ভুটানের সঙ্গে। আমি মনে করি, একটাই ম্যাচ পরিবর্তন করে দিতে পারে দেশের ফুটবলের চেহারা। আমরা কোয়ালিফাই করতে পারলে ফুটবল বেঁচে থাকবে। আমরা ফুটবলাররাও বেঁচে থাকব।’

No comments

Powered by Blogger.