খেলার সময়টা এগিয়ে আনা উচিত

বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেল। এক দশকে খেলাটি এত এগিয়েছে যে দেখে অবাক হয়ে যাই। ক্রিকেট এখন অনেক পরিণত, দক্ষতাও অনেক বেড়েছে। প্রতি ধাপে দক্ষতার পরীক্ষা হয়, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ারও। বিশেষ করে এই সংস্করণ বোলারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, এখন এত দুর্দান্ত সব ব্যাটসম্যান খেলছে। এই সংস্করণে ব্যাটসম্যানদের রোমাঞ্চকর ব্যাটিংয়ের কারণও আছে, এখানে দ্রুত রান নিতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের জন্য কিছু নেই। খেলার পরিবেশ-উইকেট সবকিছুই তাদের বিপক্ষে থাকে। শিশির যেভাবে খেলায় প্রভাব ফেলছে তা বিরক্তিকর। বিষয়টি পরে বোলিং করা দলের জন্য হতাশাজনক। এমন একটি টুর্নামেন্টে ম্যাচের ফল কেন টসের ওপর নির্ভর করবে? এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার উপায় বের করা দরকার। আইসিসির উচিত খেলার সময়টা এগিয়ে আনা, এমনভাবে খেলা শুরু করা যাতে ৯টার মধ্যেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কয়েকটি দল সম্পর্কে কিছু বলা যাক: আফগানিস্তান প্রসঙ্গে: ক্রিকেটে যে নতুন অনেক দল উঠে আসছে, সেটির বড় প্রমাণ আফগানিস্তান। দলটি নিজস্ব ক্রিকেটার নিয়েই পরিপূর্ণ, আফগানিস্তান ধাঁচে আরও কিছু দল এলেই খেলায় প্রাণ ফিরে আসবে। দলটি উত্তেজনাকর ক্রিকেট খেলছে। পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর উচিত এ দলটিকে নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো। এটা দাবি করতেই পারে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ: বাংলাদেশ সম্পর্কে বলতে গেলে, তাদের মধ্যে বড় দলগুলোকে ধাক্কা দেওয়ার, উন্নতি করার আগুন আছে। আশা করি, ভারতের বিপক্ষে ওই হারের দুঃখ কাটিয়ে উঠেছে তারা। তবে দুই বোলারের নিষেধাজ্ঞাও বাংলাদেশকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। আইসিসি যদি প্রতিযোগিতার মাঝপথে না এসে তার আগেই এই ব্যবস্থা নিত তাহলে আর এ সমস্যা হতো না। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক মনোভাব আমার ভালো লেগেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা: আমাকে সবচেয়ে হতাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই দলকে আর কখনো সমর্থন জানাব না। দক্ষিণ আফ্রিকা বারবার তাদের সমর্থকদের হতাশা উপহার দিয়েছে, প্রমাণ করেছে বড় উপলক্ষ সামনে এলেই স্নায়ুচাপে ভোগে তারা। ইংল্যান্ড: এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় চমক ছিল ইংল্যান্ড। তারা সঠিক ক্রিকেট খেলেছে। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মতো উপমহাদেশের দলগুলোর চেয়ে ভালো করেছে ওরা। অবশ্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় চলে গেলে এটি স্বাভাবিক। শ্রীলঙ্কা দলে এটির প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সময় এসেছে দলে বড় ধরনের রদবদল করার। ভারত: ভারত প্রতিভাবান কিছু খেলোয়াড় পেয়ে গেছে। চাপ সহ্য করার দারুণ ক্ষমতা আছে বিরাট কোহলির, দেখিয়েছে দলকে সে এগিয়ে নিতে পারবে। উচ্চাভিলাষী কোনো শট নেই, সুইচ হিট কিংবা স্কুপও করতে দেখা যায় না। পরিপূর্ণ এক টেস্ট ক্রিকেটারের ব্যাটিং দিয়েই সে দুর্দান্ত এক টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান। আশা করি বিরাট, রোহিত শর্মা ও অজিঙ্কা রাহানে সব সংস্করণেই ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ হয়ে উঠবে। (পিচ সলিউশন আর)

No comments

Powered by Blogger.