সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা ইসরায়েলের

ফিলিস্তিন-শাসিত গাজা উপত্যকা থেকে সব সেনাসদস্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বরাতে আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজা উপত্যকার বাইরে মোতায়েন করা সব সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে।
>>গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলের সেনাসদস্যরা। আজ মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগেই গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। ছবিটি গতকাল সোমবার তোলা। ছবি: ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েল ও হামাসসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন গোষ্ঠী ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। মিসরের মধ্যস্থতাকারী কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা।
গাজায় গত ৮ জুলাই থেকে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে নয় হাজারের বেশি। তাদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। এ ছাড়া লাখো ফিলিস্তিনি হয়েছে বাস্তুচ্যুত।
ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তা লে. কর্নেল পিটার লেরনার সাংবাদিকদের বলেছেন, আজ ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগেই তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গাজায় সর্বশেষ সামরিক অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল হামাসের সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা। তেল আবিবের সে উদ্দেশ্য ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে।
এর আগেও গাজায় কয়েক দফায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ ঘোষণাই ভেস্তে যায়। যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য হামাস ও ইসরায়েল পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে সর্বশেষ গত সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনা হয়। এতে হামাসের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের অন্য দলগুলোও যোগ দেয়। সেখানে অনুপস্থিত ছিল ইসরায়েল।
পরে ইসরায়েলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, মিসরের প্রস্তাব অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টার শর্তহীন যুদ্ধবিরতির খসড়া গ্রহণ করবে ইসরায়েল।
গাজার নিয়ন্ত্রক হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বলেছেন, ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তাঁরাও গ্রহণ করেছেন।
মিসরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিসর। তারা ৭২ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে এর আগেও একই ধরনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিল মিসর। ওই প্রস্তাব ইসরায়েল গ্রহণ করলেও প্রত্যাখ্যান করে হামাস।
নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সব পক্ষের প্রতিনিধিরা বিস্তারিত আলোচনা করতে পরে কায়রোতে বসবেন।

No comments

Powered by Blogger.