এত নিচু দিয়ে ওড়া সম্ভব?

এত বড় একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ কি রাডারের চোখ ফাঁকি দিতে পারে? আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সীমানা পেরিয়ে সবার অগোচরে এমন একটি উড়োজাহাজের কোথাও অবতরণ করা কি সম্ভব? এমন প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের নিখোঁজ উড়োজাহাজটি নিয়ে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছু স্থান রয়েছে, যা রাডারের আওতামুক্ত। কোনো উড়োজাহাজ নিচু দিয়ে উড়লে, রাডারকে ফাঁকি দিতেই পারে। তবে ৮ মার্চ নিখোঁজ উড়োজাহাজটি ছিল বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর মডেলের। এত বড় উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটা আদৌ সম্ভব কি না, সেটা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিশেষজ্ঞরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সাবেক বিশেষ গোয়েন্দা জেফনি বিট বলেন, পাহাড়ি এলাকার ভেতর দিয়ে উড়ে যাওয়া এবং রাডার ফাঁকি দেওয়া সম্ভব। এ ছাড়া একজন অভিজ্ঞ পাইলট ভালোই জানেন, কোথায় কোথায় রাডার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন কমান্ডোরা যখন ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে পাকিস্তানে গিয়েছিল, তারা এমনটাই করেছিল।’
গত সোমবার মালয়েশিয়ার সংবাদপত্র নিউ স্ট্রেইটস টাইমস অনামা সূত্রের বরাত দিয়ে খবর দেয়, নিখোঁজ বিমানটি রাডারকে ফাঁকি দিতে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার ফুট বা তারও কম উচ্চতায় উড়তে ও পাহাড়ি এলাকা ব্যবহার করে থাকতে পারে। কয়েকজন বিশ্লেষক বলেন, এত বড় একটা উড়োজাহাজকে ভূ-পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি দিয়ে দীর্ঘ সময় উড়িয়ে নেওয়া খুবই কঠিন। তা ছাড়া, সেটা করলেই যে রাডারের চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব, তাও স্পষ্ট নয়। বিমান চালনাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পরিবহনসংক্রান্ত সাবেক মহাপরিদর্শক ম্যারি শিয়াভো বলেন, ‘পাঁচ হাজার ফুট রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার মতো যথেষ্ট নিচু নয়। সাধারণ ফ্লাইটগুলো সব সময়ই কোনো না কোনোভাবে এই উচ্চতায় উড়ে থাকে এবং তা রাডারে ধরা পড়ে।’ অবশ্য ভিন্নমতও রয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, অত বড় একটা উড়োজাহাজের পক্ষে রাডারকে ফাঁকি দেওয়া কঠিন কাজ হলেও তা অসম্ভব নয়। সিএনএন।

No comments

Powered by Blogger.