নির্বাচনী কূটনীতিতে শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন by মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর

রাজনীতির বিশ্বায়ন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের এনারকিক স্ট্রাকচার, বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর আন্তঃনির্ভরশীলতা এবং জাতীয়তাবাদী ও স্বার্থান্বেষী চরিত্রের অপরিহার্য ফল হচ্ছে এক রাষ্ট্রের ওপর অপর রাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নিজ স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা। প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে স্বার্থ আদায়ের চেষ্টার কৌশলগুলো গত তিন দশকে বিশেষ করে স্নায়ুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত এসে গড়িয়েছে, যাকে আমরা এখন বলছি নির্বাচনী কূটনীতি। অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের জাতীয় নির্বাচনে পছন্দের সরকারকে ক্ষমতায় আনতে নির্বাচনের আগে স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য রাষ্ট্রগুলোর নানাধর্মী কূটনৈতিক তৎপরতাই নির্বাচনী কূটনীতি। রাজনীতির বিশ্বায়নের ফলে এক দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অস্থিরতার প্রভাব অন্য দেশেও আমরা প্রত্যক্ষ করছি। ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাস্তবতায় রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ, সহযোগিতার মনোভাব ও প্রয়োজনীয়তা, প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, পছন্দের সরকার আনার সুপ্ত বাসনা ইত্যাদি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এর অনিবার্য ফলস্বরূপ নির্বাচনী কূটনীতির অপরিহার্যতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন, চুক্তি, সনদ, প্রটোকল ইত্যাদির ফলে বিশ্বব্যবস্থার যে রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করছি, তাতে রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে স্বার্থপরতা, সহযোগিতা, দ্বন্দ্ব সবই রয়েছে কিন্তু এর প্রক্রিয়ায় একটা শালীনতা ও ভদ্রতার প্রথা গড়ে উঠেছে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যাকে আমরা বলি কূটনৈতিক শিষ্টাচার। কূটনীতিতে যে কোনো কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য ও কাজ চরমভাবে নিন্দিত হয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। কূটনীতির অনেক সুনির্দিষ্ট রীতিনীতি রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশনে অনুমোদন করেছে। কূটনীতির প্রথা ও নিয়মনীতি গড়ে উঠেছে এক রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক রাষ্ট্রের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। রাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যক্তির নয় কিংবা রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো দলের নয়, শুধুই রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বহুমুখী কূটনৈতিক তৎপরতা আমরা লক্ষ্য করেছি। শক্তিধর রাষ্ট্র, প্রতিবেশী ও বন্ধুরাষ্ট্রসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিনিয়ত বিবৃতি দিচ্ছে ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সম্প্রতি পাঁচদিনের সফরে ঢাকা এসেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছিল, বাংলাদেশে কোনো একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য হবে না- এ বার্তাটিই নিয়ে এসেছিলেন তারানকো এবং আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি সংকট নিরসনে তিনটি ইস্যুর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ। একই সঙ্গে সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘ সব দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে আগ্রহী। গত ২৫ নভেম্বর দুই নেত্রীকে লেখা চিঠিতে একই মনোভাব জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ঢাকার জার্মান রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের ছেড়ে দিয়ে সংকট সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা চলমান রাজনৈতিক সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই নেত্রীকে দ্রুত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বলেছেন, তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেননি। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কেবল সেই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে, যে নির্বাচন হবে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সম্প্রতি কানাডা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক সংকটজনিত সহিংসতায় সাধারণ মানুষের প্রাণহানি কানাডার উদ্বেগের প্রধান কারণ। ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইতিবাচক রাজনৈতিক সংলাপের জন্য রাজনীতিকদের গ্রেফতার কিংবা হরতাল সহায়ক নয়। আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর সুযোগ এখনও রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশে অব্যাহত সহিংসতা এবং নিরপরাধ লোকজনের হতাহতের ঘটনায় কানাডা অসন্তুষ্ট। এছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে আসছে।
গত ১৬ নভেম্বর শনিবার মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছিলেন। তিনি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর বলেছিলেন, নির্বাচনী সরকার নিয়ে দু’দল ঐকমত্যে পৌঁছতে না পারলে তার সমাধানে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। সম্প্রতি তিনি আরও একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে কে বিজয়ী হল তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো মাথাব্যথা নেই। বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এ নির্বাচনকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সব রাজনৈতিক দলের সমঝোতাপূর্ণ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। কমনওয়েলথের একটি প্রতিনিধি দলও সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সাক্ষাৎ শেষে কমনওয়েলথের গণতন্ত্র ও রাজনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মার্টিন ক্যাস্ত্রি সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ব্যাপারে তারা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ করেন বলে জানা যায়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন কিন্তু নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি বলে জানান খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা শমশের মবিন চৌধুরী। জেনারেল এরশাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুরোধ করেন এবং এরশাদ নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি তার এ রাষ্ট্রীয় সফরের সর্বশেষ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্যটি করেন। তিনি বলেন, ভারত সর্বোচ্চসংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন দেখতে চায়। তিনি প্রকারান্তরে এর দ্বারা বুঝিয়েছেন, কোনো বৃহৎ দল, জোট বা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী নির্বাচনে অংশ না নিলেও যদি কোনো একতরফা নির্বাচন হয় তাহলে ভারত তাকে স্বাগত জানাবে।
উল্লিখিত বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে কূটনৈতিক তৎপরতা আমরা লক্ষ্য করছি, সেগুলো বিশ্লেষণ করলে কূটনৈতিক শিষ্টাচার-অশিষ্টাচার উভয়ই আমাদের চোখে ধরা পড়ে। স্বার্থগত কারণে প্রতিটি রাষ্ট্রের পছন্দের ব্যাপার থাকবে এটি স্বাভাবিক, তবে কূটনীতির ভাষায় ও প্রক্রিয়ায় যেন সেটির প্রকাশ না ঘটে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইইউ, কানাডা, জাতিসংঘ সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ ও রাষ্ট্রকে নিয়ে। জনগণ ও রাষ্ট্র তাদের কাছে মুখ্য। তারা সবাই সবার অংশগ্রহণমূলক একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর জোর দিচ্ছে- যে বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারি দল, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ ও জনসাধারণ একমত। সংকট সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনকালীন সরকার ও তার কাঠামো নিয়ে। সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের কাক্সিক্ষত। এই গণআকাক্সক্ষার বিরুদ্ধে কোনো রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অবস্থান নেয়নি। শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে সবাই। কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীসহ পররাষ্ট্র নীতিনির্ধারকদের বিবৃতিগুলো দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখি, তারা ‘সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন’ শব্দগুলো ব্যবহার করছেন না। সুজাতা সিং ব্যবহার করেছেন ‘সর্বোচ্চ সংখ্যক দল’। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার পংকজ শরণ ‘সব দলের অংশগ্রহণ’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে আসছেন রাজনৈতিক সংকটের শুরু থেকেই। সুজাতা সিং একে নতুন মাত্রা দিলেন। একে নগ্ন কূটনীতি হিসেবে আখ্যায়িত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। উপরন্তু সুজাতা সিং নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে, কিন্তু এরশাদকে ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বর্জন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সবাই উদ্বেগ জানাচ্ছেন বাংলাদেশকে নিয়ে, কিন্তু ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করছে শুধুই ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে। এ ধরনের নগ্ন স্বার্থপরতা কূটনীতির ইতিহাসে বিরল। একটি দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির পরিবর্তে একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির এ কূটনীতি চূড়ান্ত বিচারে গণতন্ত্রবিরোধী । কারণ দেশ ও সরকার স্থায়ী, কিন্তু কোনো দল স্থায়ী নয়। আর তাই এ গণতন্ত্রবিরোধিতা কোনো কূটনীতি হতে পারে না- এটি নগ্নতা। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্য কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না, আনতে পারে না।
ভৌগোলিক ও স্বার্থগত কারণেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উভয়ের স্বার্থেই সহযোগিতা, সৌহার্দ ও সম্প্রীতি যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন উভয়ের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও আত্মমর্যাদাবোধের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনও। সম্প্রীতির সম্পর্ক তৈরি এবং তা ধরে রাখতে আরও প্রয়োজন কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলা। একই সঙ্গে উভয়ের আÍমর্যাদাবোধের অনুভূতি ও আন্তঃসহযোগিতা বৃদ্ধির চেষ্টাই উভয়ের উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এ ধরনের নগ্ন নির্বাচনী কূটনীতি এবং জনগণকে বাদ দিয়ে একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির শিষ্টাচার বহির্ভূত কূটনৈতিক তৎপরতা একদিকে যেমন কূটনীতির ইতিহাসকে কলঙ্কিত করছে, তেমনি উভয় দেশের সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর : সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.