বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন এল বারাদি

মিসরের পদত্যাগী অন্তর্বর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এল বারাদির বিরুদ্ধে জাতির সঙ্গে ‘বিশ্বাস ভঙ্গের’ অভিযোগে মামলা হয়েছে। সম্প্রতি মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত সেনা অভিযানের দায় নিতে অস্বীকার করে পদত্যাগ করায় বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে। দেশটির বিচার বিভাগীয় সূত্র গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়। কায়রোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এল বারাদির বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাস ভঙ্গের’ অভিযোগ এনে মামলাটি করেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর কায়রোর একটি আদালতে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ আগস্ট এল বারাদি পদত্যাগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, পদত্যাগ করে তিনি দেশের জনগণের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছেন। অভিযোগটি প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার (আইএইএ) সাবেক প্রধানকে এক হাজার ৪৩০ মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে। সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির অন্যতম বিরোধী ছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এল বারাদি। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। গত ৩ জুলাই সেনাবাহিনীর প্রধান ফাত্তাহ আল-সিসি মুরসিকে সরিয়ে দেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পান শান্তিতে নোবেলজয়ী এল বারাদি।
মুরসিকে ক্ষমতায় পুনর্বহালের দাবিতে মুরসি-সমর্থকদের ওপর ১৪ আগস্ট সেনা অভিযানে শত শত লোক নিহত হওয়ার ঘটনার পর পদত্যাগ করেন মোহাম্মদ এল বারাদি। পদত্যাগের পরদিনই তিনি মিসর ছেড়ে ভিয়েনায় চলে যান। মুরসির পতনে মূল ভূমিকা পালনকারী ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্টের সাবেক মুখপাত্র খালেদ দাউদ বলেছেন, আদালতে মামলা তোলার ব্যাপারে প্রসিকিউটর জেনারেলের সিদ্ধান্ত সম্ভবত দেশের বর্তমান মেরুকরণকৃত পরিবেশেরই প্রভাব। এল বারাদি ধর্মনিরপেক্ষ স্যালভেশন ফ্রন্টের অন্যতম নেতা। খালেদ দাউদ বলেন, এল বারাদির বিরুদ্ধে মামলা মিসরের বর্তমান পরিস্থিতির প্রতিফলন। তিনি বলেন, তাঁর (এল বারাদি) যেকোনো ব্যবস্থাই রাজনৈতিক। সেনা অভিযানের সমালোচনায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা। খালেদ দাউদ বলেন, ‘আপনি কোনো স্বতন্ত্র অবস্থান নিতে পারেন না বা অন্য কোনো কিছু করলেই জাতীয় বিশ্বাস ভঙ্গকারী হিসেবে বিবেচনা করা হবে আপনাকে।’ রয়টার্স, আল-জাজিরা।

No comments

Powered by Blogger.