কী হবে নতুন সরকারের অর্থনৈতিক এজেন্ডা by মামুন রশীদ

দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান আমার সঙ্গে সেলফোনে পাঠানো একটি শর্ট মেসেজের কথা শেয়ার করেছিলেন। মেসেজটি এসেছিল সরকারের শীর্ষ ব্যক্তির কাছ থেকে। মেসেজটি ছিল এরকম : ‘গরীব মানুষের কথা ভুলবেন না’। এই ছোট্ট মেসেজটি গভর্নর আতিউর রহমানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নির্দেশনা হিসেবে সম্ভবত এখনও কাজ করে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে এক সামাজিক অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার দেখা হয়। ২ মিনিটেরও কম সময়ের এই সাক্ষাতে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মতো একটি দেশে প্রাইভেট সেক্টরকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর সহযোগিতা পেলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ফলে দেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাবে।’ নিন্দুকদের বলতে শুনেছি, বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরুতে পারেননি। কিন্তু তার এই দূরদৃষ্টি দেশের বরেণ্য শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের চেয়ে কোনো অংশে কম বলে মনে হয়নি আমার। একটি জাতি যদি অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলে সে জাতি কখনোই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। কোনো দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে থাকে, তখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সুনজর পড়ে তার ওপর। তখন স্বাভাবিকভাবেই সেদেশে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বেড়ে যায় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে থাকে। যার ফলে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস পেতে থাকে। আর এভাবেই একটি দেশ ধীরে ধীরে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। আমাদের দেশেও এরকম প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তারপরও দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দুর্নীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অদূরদর্শিতা ইত্যাদি কারণে আমরা পিছিয়ে আছি। অবশ্যই আমাদের এই গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ছয় মাস পরই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অবশ্যই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল জয়লাভ করে সরকার গঠন করবে। যেহেতু দেশের অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয় রাষ্ট্র পরিচালনায় ফ্রন্টলাইনে চলে এসেছে, সেহেতু নতুন সরকারের অর্থনৈতিক এজেন্ডা কী হতে পারে, সে বিষয়ে কিছুটা আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
প্রথমেই যে বিষয়টি এসে যায় সেটি হচ্ছে বিদ্যুৎ। বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়েও নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। তারপরও জাতীয় গ্রিডে আশাব্যঞ্জক পরিমাণ বিদ্যুৎ যোগ হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ খরচও যথেষ্ট বেড়েছে বলে প্রতীয়মান। বিদ্যুতের খরচ বাড়লেও এর চাহিদা কোনো অংশেই কমছে না, বরং বাড়ছে। দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছে। বিদ্যুতের চেয়েও আরও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে গ্যাস সংকট। কেননা গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না, কল-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং নতুন কল-কারখানা বাস্তবায়নের মুখ দেখছে না। সুতরাং গ্যাস সংকট উত্তরণেও আমাদের বিশেষ নজর দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। গ্যাস সংকট সমাধানে সরকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই চেষ্টা তেমন একটা ফলদায়ক হয়নি। গ্যাস উত্তোলনে সরকার সঠিক সময়ে টেন্ডার দিতে পারেনি। যেসব প্রতিষ্ঠানকে গ্যাস উত্তোলনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের অভিযোগ, তাদের ঠিক সময়ে জায়গা বুঝিয়ে দেয়া হয়নি, কন্ট্রাক্ট কনফারমেশন করা হয়নি। যার ফলে এনার্জি সেক্টরে সমস্যার সাময়িক সমাধান হলেও দীর্ঘকালীন সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এলএনজি বা লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস প্রকল্প স্থাপনের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলেও তারও অগ্রগতি হয়নি। বিদেশী দু’-একটি এনার্জি প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলাকে বলেছিল, তারা বঙ্গোপসাগরে একটি প্ল্যাটফর্ম নির্মাণের মাধ্যমে এলএনজি জাতীয় গ্রিডে দেবে, এর বিনিময়ে পেট্রোবাংলা ওই প্রতিষ্ঠানকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল দিয়ে যাবে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল এবং সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজটি বুঝিয়ে দেয়ার কথাও হয়। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের অনমনীয় শর্তের কারণে কাজটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। ফলে এনার্জি সংকটের বিষয়টি সংকটের আবর্তেই রয়ে গেছে।
এনার্জি সেক্টরের আরেকটি বিষয় হচ্ছে কয়লা। আমাদের দেশের কয়লার মান যথেষ্ট ভালো। কিন্তু সরকারের কয়লানীতি অনুমোদনের জটিলতার কারণে সেটিও মুখথুবড়ে পড়ে রয়েছে। কোল কর্পোরেশন গঠন করার যে পদক্ষেপ নেয়ার কথা ছিল, সেটিও বাস্তবতার মুখ দেখেনি। সুতরাং যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, এ বিষয়গুলো সরকারের প্রধান পরিকল্পনার মধ্যে রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।
আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে দেশের বন্দর ও পোতাশ্রয়ের বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য। আমাদের যে প্রধান দুটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে সেখানে যথেষ্ট পরিমাণ খাঁড়ি বা গভীরতা নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভারি জাহাজ সেখানে নোঙর করতে পারে না। যার কারণে পণ্য বোঝাই বা পণ্য খালাস করতে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয় এবং এতে অনেকটা সময়ও ব্যয় হয়। এটা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি প্রধান অন্তরায়। আমরা শুনেছিলাম, আমাদের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশী এক্সপার্টদের সহায়তায় দ্রুত শেষ করা হবে। এ ব্যাপারে সরকার কিছুটা এগিয়েছে। কিন্তু এভাবে ধীর পদক্ষেপে এগোতে থাকলে ২০১৮ সালের পর পণ্য লোড-আনলোড ক্যাপাসিটি একটি সংকটের আবর্তে পড়বে বলে অনেকে মনে করছেন। সুতরাং যেভাবেই হোক, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালকে এবং সমুদ্রবন্দরগুলোকে যুগোপযোগী করতে হবে। সেই সঙ্গে বন্দরে দুর্নীতি কমাতে হবে। এর সঙ্গে প্রধান যে সমস্যা পোতাশ্রয়ের গভীরতা, সেটি দূর করতে হবে। পর্যাপ্ত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পোতাশ্রয়ের গভীরতা বাড়ানো সম্ভব। সেটি সরকার ইচ্ছে করলেই করতে পারে। দেশের নৌ-বন্দরগুলোরও গভীরতা কম থাকার কারণে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য অগ্রসর হতে পারছে না। নৌ-পথে ট্রান্সপোর্ট ব্যয় কম থাকার কারণে পণ্য পরিবহনের বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে যদি বন্দর ও নদীগুলোর গভীরতা বাড়াতে পারি, তাহলে পণ্য পরিবহনের দ্বার খুলে যাবে। যার ফলে নদীর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিভিন্ন প্লান্ট, কল-কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এতে করে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বিনিয়োগ বাড়বে, দারিদ্র্য হ্রাস পাবে, সর্বোপরি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে। সুতরাং নতুন সরকারকে ড্রেজিংয়ের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যৌথ দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে একটি প্রাইভেট পোর্ট প্রতিষ্ঠার কথাও ভাবা যেতে পারে। এমনকি কুয়াকাটার সন্নিকটে রামনাবাদ চ্যানেলে গড়ে উঠতে পারে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পোর্টগুলো হয়ে উঠবে আরও সহায়ক ও দক্ষ।
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করা উচিত। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের যে প্রক্রিয়া চলছে, সেটি খুবই শম্বুকগতিতে চলছে। এ প্রক্রিয়াকে কিভাবে দ্রুত এগিয়ে নেয়া যায় সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। কারণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন সরকারের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, আলোচনা-সমালোচনা থাকবে। এটা গণতন্ত্রের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কিন্তু দ্বান্দ্বিকতাকে কেন্দ্র করে বসে থাকা চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে। সেটি আলোচনার মাধ্যমেই হোক বা সমঝোতার মাধ্যমেই হোক। এ ব্যাপারে দুর্নীতিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারি বা সামরিক প্রতিষ্ঠানে অনেক মেধাবী প্রকৌশলী, প্রকল্পবিদ ও ব্যবস্থাপক রয়েছে। পদ্মা সেতুর ব্যাপারে তাদের কাজে লাগানো উচিত বলে আমি মনে করি।
কৃষিতে আমাদের অগ্রসরতা এখনও কাক্সিক্ষত জায়গায় পৌঁছেনি। উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, তারা তাদের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে কৃষিতে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করছে। এর ফলে তারা কৃষিপণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি করে অর্থনীতি সচল রাখতে পারছে। যেটি আমাদের দেশে সম্ভব হয়ে উঠছে না। জিডিপিতে দেশের কৃষির অবদান ১৮ শতাংশের মতো। কিন্তু কৃষিতে নিয়োজিত শ্রমশক্তি প্রায় ৪৫ শতাংশ। অবশ্যই এর পরিমাণ আমাদের বাড়াতে হবে। ধান গবেষণায় আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ইরি ও বোরো সে গবেষণারই ফল। কিন্তু ইরি ও বোরো চাষাবাদে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ পানি খরচ হয়। সুতরাং অল্প পানির সাহায্যে কিভাবে উন্নত ধান চাষ করা যায়, সেটি আমাদের গবেষণায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষক যাতে দামে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।
কৃষককে প্রণোদনার মাধ্যমে হোক, সহযোগিতার মাধ্যমে হোক, কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে উৎপাদিত পণ্য বিশেষ করে চাল বিদেশে রফতানি করার প্রক্রিয়াটি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। সুতরাং কৃষি ও খাদ্য গবেষণায় আমাদের আরও জোর দিতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত যদি এ ব্যাপারে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না? প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধতে হবে।
আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ব্যবসা-বাণিজ্যে যথেষ্ট উন্নতি করেছেন। এখন তাদের উচিত বিদেশে কিভাবে অর্থলগ্নি করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা। আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সেটি হচ্ছে শিল্পের কারণে এবং আবাসনের কারণে আমাদের কৃষি জমি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং বিশ্বের যেসব দেশ উর্বর জমি থাকা সত্ত্বেও জনবলের অভাবে কৃষি কাজ করতে পারছে না, সেসব দেশের পতিত জমিগুলো আমাদের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে অধিগ্রহণ করে সেখানে কিভাবে কৃষি উৎপাদন করা যায়, সেসব বিষয় নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হতে পারে, সেখানে উৎপাদিত পণ্যের ৫০ শতাংশ আমাদের দেশের জন্য দিতে হবে। এ বিষয়টি যদি আমাদের মাথায় থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে কৃষি জমি কমে গেলেও দেশে খাদ্য ঘাটতির বিষয়টি থাকবে না।
দেশের প্রাইভেট সেক্টর নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত। বিগত ২২ বছরে প্রাইভেট সেক্টর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। সুতরাং প্রাইভেট সেক্টরের বিকাশকে আমাদের ত্বরান্বিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর নিয়ে যে আইন রয়েছে, সেগুলোকে যুগোপযোগী করতে হবে। ১৯৪৭ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন আইনটি প্রাইভেট সেক্টর বিকাশের ক্ষেত্রে গলার কাঁটা হিসেবে বিঁধে রয়েছে। আমাদের এ স্বাধীন দেশে এখনও কেন ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া আইন অনুসরণ করতে হবে? যেহেতু দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি প্রাইভেট সেক্টর, সেহেতু এর অগ্রসরতার জন্য আইনকে যুগোপযোগী করা উচিত। আইন মন্ত্রণালয় শুধু বিরোধী দলকে ঠেঙ্গানোর জন্য আইন প্রণয়ন করবে না। দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য কিভাবে অগ্রসরমান হয়, সেদিকেই নজর দেবে। কোন কোন আইন উদ্যোক্তা তৈরিতে বাধা এবং কোন কোন মান্ধাতার আমলের আইন দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহায়ক নয়, সেসব আইন যুগোপযোগী করা একান্ত প্রয়োজন। ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন আইনটি দিয়েই শুরু করা যেতে পারে।
নতুন সরকারের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। জাতির এ প্রত্যাশাগুলো সরকার আমলে নিয়ে নব উদ্যমে দেশকে এগিয়ে নেবে, বিশেষ করে এ প্রবন্ধে আলোচ্য বিষয়গুলোকে নতুন সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মামুন রশীদ : ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

No comments

Powered by Blogger.