আটক রোহিঙ্গাদের নিতে চায় না কেউ: থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ড সরকার বলেছে, সে দেশে আটক প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে তৃতীয় কোনো দেশ রাজি হচ্ছে না। ব্যাংককের ধারণা, রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে আশ্রয় দিলে বাকি রোহিঙ্গারাও তাদের পথ অনুসরণ করবে—এই ভয়ে হয়তো কোনো দেশ তাদের আশ্রয় দিতে চাইছে না। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মানাসভি শ্রীসদাপল গতকাল মঙ্গলবার এ কথা বলেন। ওই মুখপাত্র বলেন, রোহিঙ্গাদের গ্রহণে তৃতীয় কোনো দেশ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের আশঙ্কা, রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে আশ্রয় দিলে বাকি হাজার হাজার বা লাখ লাখ রোহিঙ্গাও তাদের অনুসরণ করবে। কয়েক মাস ধরে থাইল্যান্ডের কয়েকটি জনাকীর্ণ জেলহাজতে বন্দী রয়েছে প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা। তারা প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে নৌকা বা ট্রলারযোগে সেখানে পালিয়ে গেছে। রাখাইন বৌদ্ধদের সঙ্গে জাতিগত দাঙ্গার পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা। এদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। কারাগারগুলোতে মানবেতর জীবনযাপনের কারণে আটক রোহিঙ্গাদের মুক্তি দাবি করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এ ব্যাপারে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা কারাগারের অমানবিক পরিবেশ সম্পর্কে অবগত। মানাসভি বলেন, থাই সরকার রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করছে। অভিযোগ আছে, থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের অনেককে নৌপথে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে সাহায্য করেছে থাই নৌবাহিনী। আবার অনেককে আটক করা হয়েছে। উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের গন্তব্য হিসেবে প্রথম পছন্দ মালয়েশিয়া। দুই সন্তান নীতি খতিয়ে দেখা হবে: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সরকার সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গা মুসলমানেরা দুটির বেশি সন্তান নিতে পারবে না বলে যে ঘোষণা দিয়েছিল, তা সরকার পুনর্বিবেচনা করবে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই দুই সন্তান নীতির কড়া সমালোচনা করার পর সরকার বিষয়টি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের মুখপাত্র ইয়ে তুত বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এই নীতি ঘোষণা করেনি। আমরা এটি খতিয়ে দেখছি।’ এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.