জনস্বার্থে..by সঞ্জয় কুমার ভৌমিক

আমাদের দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে রাজনৈতিক আন্দোলনের মূল হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘হরতাল’। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতার উত্তাপ অনেকটাই বেগবান হয়। ভোগান্তি বাড়ে সাধারণ মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি। যার কম-বেশি প্রভাব পড়ে প্রত্যেক ক্ষেত্রে। শিক্ষাজীবনে এসএসসির পরই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় সাফল্য লাভের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যায় তার লক্ষ্যে। হরতালের কারণে বারবার সময়সূচি পরিবর্তনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি অনেকটাই ছিল দোদুল্যমান। সেই সঙ্গে বাড়ল উৎকণ্ঠা। পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে যে দুশ্চিন্তা থাকে শিক্ষার্থীদের মনে, তার চেয়েও বেশি চিন্তিত হতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের সময়সূচি নিয়ে। যা পরীক্ষার্থীদের মানসিকভাবে অসহায় করেছে। পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, যা দুঃখজনক। অতীত ও বর্তমান পরিবেশকে যদি খতিয়ে দেখা হয় নিখুঁতভাবে, তবে দেখা যাবে আন্দোলনকে চাঙা করতে কিংবা দাবি আদায়ের পথ ধরে অথবা কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো হরতালকে বেছে নিয়েছে বারবার। হয়তো প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে হরতালের বিকল্প তারা খুঁজে পায়নি। হতে পারে এটা ব্যর্থতা। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন, সবার আগে দেশ, দেশের জনগণ। যা হতে হবে জনস্বার্থে, জনগণের কল্যাণে।
আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। প্রয়োজন দেশকে নিয়ে ভাবার। আর দেশের জন্য কাজ করতে হলে সাইনবোর্ড লাগানোর প্রয়োজন হয় না। রানা প্লাজা ধসে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সে কথাই মনে করিয়ে দেয়। আমাদের দেশের পোশাকশিল্পের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ন হয়েছে সাভার ট্র্যাজেডির কারণে। হরতালে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যাহত হচ্ছে অর্থনীতির সচলতা। নানা সময়ে নানা দুর্নীতি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে উন্নয়নের পথে।  প্রয়োজন দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করা।
সঞ্জয় কুমার ভৌমিক
বসুন্ধরা আ/এ, শ্রীমঙ্গল।

No comments

Powered by Blogger.