বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসের প্রতিশ্রুতি বেইজিংয়ের

চীনের সফররত প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বলেন, ভারতে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানো হবে এবং চীনের বাজারে ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে। শীর্ষ ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন (এফআইসিসিআই) আয়োজিত সভায় ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে ভাষণে চীনা প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেন, ভারত-চীনের বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা কমিয়ে আনার সামর্থ্য তাঁদের রয়েছে। চীনের বাজারে ভারতীয় পণ্যের আরও বেশি প্রবেশ প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্যের বিষয়টি দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে কতটা গুরুত্বপূর্ণ,  চীন সেটা বুঝতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় থাকলে সেটা চীনের জন্যই ইতিবাচক হবে। কারণ, চীন তখন অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে পারবে। সীমান্ত বিরোধসহ অন্যান্য অপ্রীতিকর বিষয় পেছনে ফেলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাইছে এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও চীন। কেকিয়াংয়ের চলতি সফরকালে উভয় দেশের নেতা সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। চীনা প্রধানমন্ত্রী গত সোমবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন, দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের সংখ্যা পারস্পরিক বিরোধের সংখ্যার চেয়ে কম নয়। ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার চীন। দুই দেশের মধ্যে গত অর্থবছর থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ছয় হাজার ৭৮৩ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বাণিজ্য হয়েছে। তবে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে ৪০৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারে পৌঁছায়। এই ঘাটতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে চীনা নেতারা আগেও জোরালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সেসব কার্যকর হতে খুব কমই দেখা গেছে। দিল্লিভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের বিশ্লেষক বি জি ভার্গিস বলেন, উভয় দেশকে এখন অবশ্যই সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে। চীনের চাহিদা অনুযায়ী দেশটিতে ভারতীয় পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.