রাজধানীতে ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণের দাবি ডিসিসির

শনিবার সকালে পশু কোরবানির পর রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু করেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। সন্ধ্যার আগে নগরীর বিভিন্ন স্থানের ৯০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন অঞ্চল পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তারা।

নগর ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে মো. শাজাহান জানান, ঈদের দিন সকাল ৮টার পর থেকেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের অভিযান শুরু হয়। এর আগে কোরবানির সম্ভাব্য স্পটগুলোতে বিনামূল্যে পলিথিন ও ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হয়।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণের জন্য নিয়মিত পরিচ্ছন্ন কর্মীর পাশাপাশি অতিরিক্ত কর্মীও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী সুলতান-উল ইসলাম বলেন, করপোরেশনের ৫৬টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

নিয়মিত ৫১০০ পরিচ্ছন্ন কর্মীর পাশাপাশি অতিরিক্ত দুই হাজার কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৬০০ ভ্যান সার্ভিসে আড়াই হাজার জনবল কাজ করছেন।

অঞ্চল ১-এর পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টার আগে তার নির্ধারিত এলাকায় ৯০ ভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। বাকি কাজ রাতের মধ্যেই শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিকেলেও অনেক স্থানে পশু কোরবানি হয়েছে। এ জন্য সিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করার পর আবার রিপিট করা হবে।

মিন্টু রোড, বেইলী রোড, সিদ্ধেশ্বরী, গুলিস্তান, ধানমন্ডি, গ্রিন রোড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চল-১-এর অন্তর্ভুক্ত।

মাদারটেক, বাসাবো, গোড়ান, মতিঝিল, কমলাপুর, পল্টন, মালিবাগ, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, মেরাদিয়া নিয়ে অঞ্চল-২। এ অঞ্চলের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন জানান, সকালে যেসব স্থানে পশু কোরবানি করা হয়েছে তার ৯০ ভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। বিকেলে যে পশু কোরবানি দেয়া হয় সেখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৬০ থেকে ১০০ ভাগ বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে। পুরানা পল্টনে বর্জ্য অপসারণের কাজ শতভাগ হয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, কমলাপুর এবং গোলাপবাগ হাটে গরু থাকার কারণে দুটি হাটের বর্জ্য অপসারণে বিলম্ব হচ্ছে। বিক্রেতারা গরু নিয়ে চলে যাওয়ার পর এসব হাটে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হবে।

অঞ্চল ৩-এর পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন জানান, এসব এলাকায় অতিরিক্ত ৫টি কনটেইনার কেরিয়ারের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণের কাজ চলছে। এছাড়া অতিরিক্ত দুটি কমপেক্টর এবং ৫টি ড্যাম্পার বর্জ্য আপসারণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে।

হাজারীবাগ, জিগাতলা, রহমতগঞ্জ, নিউ পল্টন, শহীদনগর, ঋষিপাড়া, কিল্লার মোড় ও আজিমপুর নিয়ে অঞ্চল-৩।
সাহাবউদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যেই এসব অঞ্চলের ৯০ ভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যেভাবে কাজ করছেন তাতে রাতের মধ্যেই বর্জ্য অপসারণের কাজ শতভাগ শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

তবে রহমতগঞ্জে দুটি গরুর হাটে এখনো গরু থাকায় হাট দুটিতে আজ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বলেন, শুরুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।

পশুরহাটসহ নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে ডিসিসি ১০ হাটের জন্য ৬টি পোল্ডার, ৫টি টায়ার ডোলার, ২৫টি ড্যাম্পার, ৪টি ট্রেইলার, দুটি প্রাইম মোভার ও ১০টি পানির গাড়ি সরবরাহ করেছে। সূত্র: বাসস

No comments

Powered by Blogger.