ডিসিদের সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার দাবি সরাসরি নাকচ-সুপ্রীমকোর্টের আদেশের ব্যত্যয় হবে এ রকম কিছু করা যাবে না ॥ আইনমন্ত্রী by তপন বিশ্বাস ও তৌহিদুর রহমান

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে জেলা প্রশাসকদের বড় দাবি অপরাধ আমলে নেয়ার এখতিয়ার এবং সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতা প্রদানের প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে সরকার। শেষ দিনের কার্য অধিবেশনে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধির সর্বশেষ সংশোধনের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ


থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগকেই বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেয়া সম্ভব নয়। এজন্য ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হলে তা সুপ্রীমকোর্টের আদেশের ব্যত্যয় হবে। তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, এই সম্মেলন সফল হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা তাঁরা যথাযথভাবে পালন করবেন। তাঁরা জনগণের সেবা নিশ্চিত করবেন।
সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করার পর থেকে জেলা প্রশাসকরা সংক্ষিপ্ত বিচারিক ক্ষমতা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। বিগত তিনটি জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তাঁরা একই দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাঁদের এই দাবি ছিল মূলত সিআরপিসি’র ২৬০ ধারা থেকে ২৬৫ ধারা পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত বিচারিক পদ্ধতিতে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান। এ মোতাবেক দ-বিধির ২৬৪, ২৬৫, ২৬৬, ২২৩, ৩৭৯, ৩৮১, ৪০৩, ৪১১, ৪১৪, ৪২৬, ৪২৭, ৪৪৭, ৪৪৮, ৪৫১, ৪৫৩, ৪৫৪, ৪৫৬ ও ৪৫৭ ধারার মামলাসমূহ এই পদ্ধতিতে বিচার করা হয়। এতে সাক্ষী গ্রহণের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পাদনের বিধান রয়েছে। এ ধারাসমূহের আওতাভুক্ত মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান রয়েছে ২ বছর কারাদ-।
আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি দ-বিধি সংশোধন করে ইতোমধ্যে ডিসিদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ ক্ষমতা আর বাড়ানো ‘কোনভাবেই’ সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসকদের অভিযোগ ছিল, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের ‘কথায় কথায়’ আদালত অবমাননার অভিযোগের মুখে পড়তে হয়। এজন্য আইন সংশোধন করারও দাবি ছিল তাঁদের। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী জানান, সংশ্লিষ্ট আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব বর্তমানে সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে। সংসদের আগামী অধিবেশনেই তা পাসের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, খাসজমি সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে সরকারী আইন কর্মকর্তাদের কাজ তদারকি এবং নথিপত্র দিয়ে তাদের সহায়তা করতেও ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারী এসব জমি যাতে বেহাত না হয়, সেজন্যই এ নির্দেশনা। বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালত থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ডিসিদের প্রতি আদেশ দেয়া হয়ে থাকে, যা অনেক সময় ঠিকমতো পালন করা হয় না। এসব আদেশ যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয়, সে ব্যাপারে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বয়স্ক ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে বয়স ৬০ করার দাবি প্রসঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ বলেন, দেশে বর্তমানে মৃত্যুহার কমছে। তাই বুড়োদের সংখ্যাও বাড়ছে। এ অবস্থায় বয়স্ক ব্যক্তিদের কিভাবে পারিবারিক বলয়ে রেখে সহায়তা দেয়া যায়, তা সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
এনজিও কার্যক্রম তদারকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে টাকা এনে অনেক সংস্থা রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় এনজিওগুলোর কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে সংস্থাগুলোকে একটি ছাতার নিচে আনার প্রক্রিয়া চলছে। সরকার ইতোমধ্যে পাঁচ হাজারের বেশি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করেছে।
দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বেড়িবাঁধ কেটে চিংড়ি ঘেরে লবণাক্ত পানি ঢোকানোর সুযোগ না দিতে ডিসিদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশচন্দ্র সেন। এ ধরনের তৎপরতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। ডিসি সম্মেলনের শেষদিনে পানিসম্পদ এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য নির্ধারিত কার্য অধিবেশনে ডিসিদের তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিংড়ি ঘেরে লোনা পানি ঢোকাতে বেড়িবাঁধগুলো কেটে ফেলায় এগুলো দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফলে সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই বাঁধগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। এতে স্থানীয় মানুষ ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বন্ধে আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে।
খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লোনা পানিতে চাষ করা চিংড়ি দেশের রফতানি আয়ের অন্যতম উৎস। তবে ঘেরে লোনা পানি ঢোকানোয় বাঁধ কাটার পাশাপাশি জমির উর্বরতা শক্তিও কমছে।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সিলেটসহ হাওড় অঞ্চলের আকস্মিক বন্যা মোকাবেলার পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, হাওড় এলাকার সমস্যা সমাধানে সরকার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে। জলাবদ্ধতা এবং আকস্মিক বন্যা এড়াতে বিভিন্ন নদী খনন, নদী শাসন এবং নদীতীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ডিসিদের সহায়তা করতে হবে।
দেশের নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সরকার গঙ্গা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এ বছর সম্ভব না হলেও আগামী বছরের শুরুতেই এ বাঁধ নির্মাণ শুরু হবে বলে মন্ত্রী তাঁদের অবহিত করেন।
বৈঠকে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মনু সেচ প্রকল্পের ৩০ বছর আগের বাঁধ সংস্কার ও যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন, হাকালুকি হাওড়ে পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ, কালনী ও কুশিয়ারা নদীর খননের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক যমুনা খনন এবং নদীশাসনের মাধ্যমে প্রায় তিন কিলোমিটার ভূমি উদ্ধার ও প্রস্তাবিত শিল্পপার্ক গড়ে তোলার বিষয় তোলেন। নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ব্রহ্মপুত্র নদের স্নানঘাটটি সংস্কারের প্রস্তাব করেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক বিভিন্ন বেড়িবাঁধ সংস্কার এবং মনপুরাসহ জেলার বিভিন্ন দ্বীপ রক্ষায় বাঁধ নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেয়ার প্রস্তাব জানান। লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক রামগতি এবং কমলনগরের নদী ভাঙন রোধ এবং মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ভৈরব নদী রক্ষা ও গড়াই নদী খননের প্রস্তাব দেন।
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ভোলায় গ্যাসক্ষেত্র ও বিভিন্ন দ্বীপ রক্ষায় ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের তদারকি করতে হবে।
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিদ্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক বলেন, বিদ্যুতের দাম কোন বিষয় নয়, বিদ্যুত পেলেই জনগণ খুশি। যাদের বিদ্যুত আছে, তারাই বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলে। কিন্তু সরকার কত দিকে ভর্তুকি দেবে?
বিদ্যুত ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকরা বর্তমানে জেলা পর্যায়ে বিদ্যুত পরিস্থিতি নিয়ে ডিসিরা সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা আছে এতে কি সন্তুষ্ট হওয়া যায়? বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে আমাদের যা আছে তা দিয়ে ম্যানেজ করে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এজন্য জেলা প্রশাসকদের সহায়তা প্রয়োজন। একদিক থেকে এনে অন্যদিকে দিতে হবে। কিন্তু আমাদের আরও লাগবে। একদিনেই সবকিছু হবে না। সময় লাগবে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, রমজানে বিদ্যুত সরবরাহ ভাল থাকবে। সেহরি ও ইফতারে মানুষ যেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত পায় এজন্য জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা পুরনো, জরাজীর্ণ বিতরণ ব্যবস্থা, সাব-স্টেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমরা বলেছি বিতরণ ব্যবস্থায় জোর দিতে চাই। যাতে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়লে সরবরাহে সমস্যা না হয়। তিনি বলেন, সার্বিক বিদ্যুত পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়েছে। আমরা এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই, অব্যাহত রাখব। তবে আমাদের আরও অনেক বিদ্যুত প্রয়োজন।
এদিকে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির আগে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন সম্মেলনে অংশ নেয়া জেলা প্রশাসকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সম্মেলনে সম্প্রতি বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এ সময় অনেক জেলার প্রশাসকরা শহরের পাশাপাশি গ্রামেও বিদ্যুত পরিস্থিতি উন্নতি করতে সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য বলেন। দেশের উত্তরাঞ্চলের এক জেলা প্রশাসক জানান, সম্প্রতি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে গ্রামাঞ্চলে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে আগেও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পরেও বিদ্যুত পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এ আশঙ্কার কথা জানান ওই কর্মকর্তা।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অর্থ জোগাতে মোবাইল গ্রাহকদের প্রতি কলে ১০ পয়সা সারচার্জ আরোপ করার সুপারিশ করেছেন জেলা প্রশাসকরা। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠককালে তাঁরা এই প্রস্তাব দেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠক শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অর্থ জোগাতে স্পীকারের প্রতি কলে ২৫ পয়সা সারচার্জ আরোপের সুপারিশের বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা ১০ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেন। তবে মোবাইল কলের সারচার্জ নির্ধারণ নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে ফাইবার অপটিক্যাল সংযোগের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সরকারী ডাক বিভাগের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানোর কারণে ডাকবিভাগ এখন অনেক কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসিরা। মন্ত্রী বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে সব জেলায় ফাইবার অপটিক্যাল লাইন স্থাপন করবে। এছাড়া আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই থ্রিজি সেবা চালু হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটককে সরকারী অফিসিয়াল মুঠোফোনের ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিসিদের টেলিটক সিম ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে খুলনার ডিসি সুন্দরবনে একটি টেলিটকের টাওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগর এলাকার জেলেদের মোবাইল ব্যবহারের সুবিধা দেয়ার দাবি করেন।
তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, তৃণমূল পর্যায়ে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণায়ের কার্য অধিবেশন শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইনের সুফল যেন সব নাগরিক পান সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কেউ ভুল তথ্য পরিবেশন করলে মানহানি মামলা করতে পারবেন অথবা প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারবেন। সঠিক তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের অবহিত করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.