মেসির চোখে ম্যারাডোনাই সেরা

টানা দুটো জয়। যেকোনো অধিনায়কের মুখভরা হাসি থাকারই কথা। হাসি ফুটেছে লিওনেল মেসির মুখেও। ভেনেজুয়েলার পর নাইজেরিয়াকে হারানো, ১-০ জয়ের পর ৩-১-এ জয়। আর্জেন্টিনার নতুন অধিনায়ক দলের এই উন্নতির ধারাটা দেখতে চান সামনেও।
নাইজেরিয়ার ম্যাচ নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বেশ কিছু ব্যর্থতার পর এই জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জয় ব্যাপারটাই ইতিবাচক, এটা আপনার মধ্যে তৃপ্তির অনুভূতি এনে দেয়।’
কলকাতা ও ঢাকা সফরে একটা জিনিসই মেসির পছন্দ হয়নি—অসহ্য গরম। এ ছাড়া বাকি সবকিছুই উপভোগ করেছেন, ‘আমরা কিন্তু দুটো ম্যাচেই ভালো সুযোগ তৈরি করেছি। মাঠের অবস্থা আর ভীষণ গরম আবহাওয়ার পরও আমরা ভালো খেলেছি। দল সম্পর্কে একটা ভালো ধারণাও গড়ে উঠেছে। ম্যাচ জেতাটাই আসল। এখন এই উন্নতির ধারাটা ধরে রাখতে হবে।’
নতুন কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলার সূচনাটাও হয়েছে ইতিবাচক, যদিও আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে কড়া সমালোচনা হচ্ছে নাইজেরিয়ার খেলার ধরন নিয়ে। এই ম্যাচে মেসির ওপর বেশ চড়াও হয়ে খেলেছে নাইজেরিয়া। একবার তো মারাত্মক ফাউলের শিকার হয়ে মাঠে পড়ে ছিলেন মেসি। ঠোঁট কেটে গিয়েছিল তাঁর।
মেসি অবশ্য নাইজেরিয়ার ওপর কোনো রাগ পুষে রাখেননি, ‘শুধু আমাকেই নয়, ওরা আমাদের অনেক খেলোয়াড়কেই আঘাত করেছে। তবে আমার মনে হয় না ওরা ইচ্ছা করে নোংরা খেলেছে। আমিও মাঠে এমনটা ভেবে নামি না, আমাকেই মারা হবে, আমি মাঠে নামি খেলার জন্য।’
আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে মেসির অনেক স্বপ্ন। জানিয়েছেন নিজের ব্যক্তিগত একটা স্বপ্নের কথাও। বার্সেলোনায় খেলা শেষ করে মেসি আবার ফিরে যেতে চান তাঁর নিজের প্রথম ক্লাবে। রোজারিওর মেসির শুরুটা হয়েছিল স্থানীয় নিওয়েলস ওল্ড বয়েজে। কিন্তু পেশাদার লিগে অভিষেক হওয়ার অনেক আগেই ১৩ বছর বয়সে চলে যান বার্সেলোনায়।
‘সেই ছোট্টটি থাকার সময়ই আমি আর্জেন্টিনার লিগে নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছি। আমি তাদের হয়ে খেলতে চাই। ছোটবেলায় টিভিতে ওদের খেলা কতদিন দেখেছি।’ আরও বলেছেন, পেলের চেয়ে ম্যারাডোনাই সেরা, ‘ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়টির নাম ম্যারাডোনা। এতে কোনো সন্দেহই নেই। আমি পেলেকে খেলতে দেখিনি, তবে ডিয়েগোই যে সেরা, এটা জানার জন্য পেলের খেলা দেখার দরকারও আমার নেই।’

No comments

Powered by Blogger.