ব্রিস্টল হোক প্রেরণা

গত ১০ জুলাই বিশ্বকাপ ফুটবলের তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানি ও উরুগুয়ে। জার্মানি ম্যাচটা জিতে নেয় ৩-২ গোলে।
সেই একই দিন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অনেক দূরে, ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে, ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচটি মাত্র ৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। পূর্ণ করেছিল একটা বৃত্ত।
বৃত্তটা অপূর্ণ ছিল ইংল্যান্ডের কারণে। টেস্টের সব কুলীন সদস্যকে একবার না একবার ওয়ানডেতে হারিয়েও বাংলাদেশ পারছিল না কেবল ইংল্যান্ডের সঙ্গে। অনেকবার ঠেসে ধরেও পারা যায়নি। পিছলে বেরিয়ে গেছে ইংলিশরা। সেদিনও বেরিয়ে যাচ্ছিল প্রায়। নাছোড় জোনাথন ট্রট উইকেট আগলে রেখেছিলেন একটা প্রান্ত। শেষ পর্যন্ত শফিউল তাঁকে ক্যাচ বানান উইকেটের পেছনে। টেস্ট-ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টি মিলে ইংলিশদের কাছে টানা ২০ ম্যাচ হারার পর জয়ের মুখ দেখে বাংলাদেশ।
গত বছর মে-জুলাইয়ের ওই সফরেও টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে তামিম ইকবালের ব্যাট ছিল উদ্ধত। দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। প্রথম ওয়ানডেতেও ব্যাট হাতে ভালো করেছিল বাংলাদেশ। যদিও ২৫০ রান করেও জিততে পারেনি। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই চমক।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ সেদিন ৭ উইকেটে তুলেছিল ২৩৬ রান। ইমরুল কায়েস করেছিলেন ৭৬, জহুরুল ইসলাম ৪০। আটে নেমে অধিনায়ক মাশরাফি খেলেছিলেন ২২ রানের একটা ক্যামিও ইনিংস, গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাহমুদউল্লাহ ২৪ রানের ইনিংসটিও।
৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পর থেকে নিয়মিত বিরতিকে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। ১৬৬ রানে ৭ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরই জয়ের সুবাস পেতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ওয়ান ডাউনে নামা ট্রট অষ্টম উইকেটে স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে ৪৩ আর নবম উইকেটে জেমস অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ১৮ রানের জুটি গড়েন। ব্রড-অ্যান্ডারসন দুজনকেই ফেরান মাশরাফি।
অ্যান্ডারসন বিদায় নেন ৪৯ ওভারে শেষ বলে। ফলে শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন হয় ১০ রান, হাতে ১ উইকেট। স্ট্রাইকে ৯০ রানে অপরাজিত ট্রট! প্রথম দুটি বলে দুই-দুই চার রান। তৃতীয় বলে? ট্রটের ব্যাট ছুঁয়ে জহুরুলের গ্লাভসবন্দী হয় বল। জয়োৎসবে মাতে বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হন মাশরাফি।

No comments

Powered by Blogger.