এবার আর ওয়ালকট-বিস্ময় নয়

বিস্ময় শব্দটা থিও ওয়ালকটের সঙ্গে খুব যায়। সেই ছোট্টটি থেকেই একের পর এক বিস্ময় উপহার দিয়ে আসছেন ইংলিশ উইঙ্গার। যখন স্কুলে পড়েন, নিউবুরি ক্লাবের হয়ে এক মৌসুমে ১০০ গোল করে বিস্ময় উপহার দেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি করেন। স্কুল ছাড়ার দুই সপ্তাহ পরই সুযোগ পান সাদাম্পটনের রিজার্ভ দলে। পরে খেলেন মূল দলে, সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে।
২০০৬ সালে জুনিয়রদের সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেকর্ড গড়ে নাম লেখান আর্সেনালে। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলে সুযোগ পেয়ে তো ইংল্যান্ডের বিস্ময়বালক খেতাব পেয়ে যান। তবে কোচ গোরান এরিকসন তাঁকে একটি ম্যাচেও খেলাননি। এটাও এক বিস্ময়। এ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে। এ রকম আরেকটা ওয়ালকট-বিস্ময় দেখতে চান না তাঁর আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। সম্প্রতি ওয়ালকটকে নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। কেউ কেউ বিশ্বকাপ দলে তাঁকে না রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন ইংল্যান্ড কোচ ফ্যাবিও ক্যাপেলোকে। কিন্তু ওয়েঙ্গারের কথা, ওয়ালকটের ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে না থাকাটা হবে চরম বিস্ময়ের।
ওয়ালকটকে ঘিরে সাম্প্রতিক সমালোচনা একটি ম্যাচে তাঁর বাজে পারফরম্যান্সের কারণে। ওয়েম্বলিতে গত মার্চে মিসরের বিপক্ষে ম্যাচটি তাঁর নামের সঙ্গে যায়নি। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দারুণ এক হ্যাটট্রিক করা ওয়ালকটের এই খেলা দেখে সাবেক ইংলিশ উইঙ্গার ক্রিস ওয়াডল বলেছিলেন, ‘ও আসলে খেলাটা ঠিক বুঝতে পারে না।’
কথাটি ওয়ালকটের পছন্দ হয়নি। ওয়ালকট বলেছেন, ‘একজন উইঙ্গারের জন্য আসল আপনি শেষের কাজটা কতটা ঠিকভাবে করতে পারলেন তাই। আপনি সবকিছু ভালো করতে পারেন—সুন্দর ড্রিবল করে প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলতে পারেন, কিন্তু বলটি শেষ পর্যন্ত জায়গামতো না দিতে পারলে এর কোনো দাম নেই।’
এই শেষ ভালোটাই হয়ে হয়েও হচ্ছে না ওয়ালকটের। গত বিশ্বকাপে গেলেন, পত্রপত্রিকার শিরোনাম হলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি ম্যাচও খেলা হলো না।
এই বিশ্বকাপেও এমন হবে না তো? ওয়ালকটের বিশ্বাস, এবার আর এমন হবে না। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের আর দুটি ম্যাচ বাকি আছে। এই দুই ম্যাচে ভালো খেলে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে নিজের গুরুত্বটা নিশ্চয়ই বোঝাতে পারবেন বলে বিশ্বাস ওয়ালকটের।

No comments

Powered by Blogger.