টেকনাফের চামড়া ব্যবসায়ীরা এবার পুঁজির সংকটে আছেন

কক্সবাজারের টেকনাফের চামড়া ব্যবসায়ীরা চরম মূলধনসংকটে পড়েছেন। চট্টগ্রামের আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রায় এক কোটি টাকা বকেয়া পড়ে থাকায় তাঁরা এবারের ঈদে কোরবানির পশুর চামড়া কেনার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না বলে জানান।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, চট্টগ্রামের আড়তদার ও ট্যানারি মালিকেরা শিগগির বকেয়া না মেটালে সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলায় ২৯ জন চামড়া ব্যবসায়ী থাকলেও বর্তমানে সক্রিয় রয়েছেন মাত্র ১১ জন। অবশিষ্ট ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। চট্টগ্রামের আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে পুঁজি আটকে যাওয়ায় তাঁদের এ হাল হয়েছে।
বিপাকে পড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য বছরগুলোতে ঈদের প্রায় এক মাস আগে বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হলেও এবার তা করছেন না চট্টগ্রামের আড়তদার ও ট্যানারি মালিকেরা।
টেকনাফে বড় চামড়া ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আবদুল্লাহ মনির ও শেখ হায়দার প্রথম আলোকে জানান, তাঁদের কাছে এবার পুঁজি নেই। বকেয়া পাওনা পাওয়া গেলে চামড়া কিনবেন। অন্যথায় ঋণ নিয়ে চামড়া কিনবেন না।
চামড়ার চোরাচালানের আশঙ্কা প্রসঙ্গে টেকনাফ ৪২ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর শাহিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সীমান্ত পয়েন্টগুলোয় বিডিআরের টহল জোরদার করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.