সু চিকে গৃহবন্দী রাখার রায় বহাল রাখল আদালত

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির আপিল আবেদন গতকাল শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছেন জান্তার আদালত। ফলে নোবেলজয়ী এ নেত্রীর গৃহবন্দী থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গেল। এক মার্কিন নাগরিক সু চির বাড়িতে অনুপ্রবেশের দায়ে গত আগস্ট মাসে এ নেত্রীর গৃহবন্দীর মেয়াদ ১৮ মাস বাড়ানোর রায় দেন ইয়াঙ্গুনের নিম্ন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সু চি আপিল করেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এতে সামনের বছর জাতীয় নির্বাচনে সু চির অংশগ্রহণ আরও অনিশ্চিত হয়ে গেল।
সু চির আইনজীবী ও তাঁর রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র নিয়ান উইন জানিয়েছেন, ‘নিম্ন আদালত আমাদের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা এখন উচ্চ আদালতে যাব।’ আদালতের ওই রায়ে তিনি হতাশ কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নিয়ান বলেন, ‘আমরা আশা করি, উচ্চ আদালতে সুবিচার পাব; সু চি নিঃশর্ত মুক্তি পাবেন।’ ইয়াঙ্গুনের আদালতের আশপাশের এলাকায় গতকাল কঠোর পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় সু চি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
ঠুনকো অজুহাতে সু চির গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ানোর খবরে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। তাঁকে শিগগিরই মুক্তি দেওয়ার জন্য দেশটির জান্তা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে ওয়াশিংটন।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়েছে। প্রায় এক দশকের মধ্যে এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে এ ধরনের প্রথম বৈঠক। এতে সু চির মুক্তির পাশাপাশি মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। ওই দিন ওয়াশিংটন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সু চিকে মুক্তি দেওয়া না হলে দেশটির ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না।

No comments

Powered by Blogger.