উত্তরাঞ্চল থেকে ট্রেনে কাঁচামাল পরিবহনে সাড়া মিলছে না

উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকায় চলাচলকারী আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেন ও পার্সেল (মালবাহী) ট্রেনে কাঁচামাল, শাকসবজিসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের জন্য বগি সংযোজন করা হলেও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিচ্ছেন না। ট্রেনে বুকিং না দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, হাট থেকে কাঁচামাল কিনে ট্রেন পর্যন্ত নিতে গেলে চারবার ওঠানামা করতে হয়। এতে অতিরিক্ত পরিমাণে কুলি খরচ বহন করতে হয়; আবার শাকসবজিজাতীয় পণ্যের ক্ষতিও হয়।
জয়পুরহাট রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলেন, কাঁচামালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে বগি সংযোজন ও পার্সেল ট্রেন চালু করা হয়। কিন্তু গত ১৪ দিনে ওই সব ট্রেনে মালামাল পরিবহনে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তেমন সাড়া মেলেনি।
স্টেশন মাস্টার আব্দুল করিম প্রথম আলোকে জানান, ‘ট্রেনে শাকসবজি ও কাঁচামাল পরিবহনের জন্য হাটবাজারে মাইকিং ও লিফলেট প্রচার করেও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।’ তিনি জানান, গত ১৪ দিনে জয়পুরহাট স্টেশন থেকে মাত্র চার হাজার কেজি কাঁচামাল ঢাকায় বুকিং দেওয়া হয়েছে। আর পার্সেল ট্রেনে এখনো কোনো মালামাল বুকিং দেওয়া যায়নি।
জামালগঞ্জের স্টেশন মাস্টার ইব্রাহিম হোসেন জানান, তাঁর স্টেশন থেকে শুধু সামান্য পরিমাণে কলা পরিবহনের বুকিং দেওয়া হয়েছে।
কাঁচামালের ব্যবসায়ী কমল চন্দ্র জানান, ট্রেনে মালামাল পাঠাতে গেলে খরচ বেশি পড়ে যায় এবং পণ্যের ক্ষতি হয়। ট্রাকে করে মাল সরাসরি ঢাকায় মহাজনের ঘরে নেওয়া যায়। সেজন্য তাঁরা ট্রেনে মালামাল পরিবহন করেন না।

No comments

Powered by Blogger.