যেন ফসলের মাঠ! by মো. সোহাগ হোসেন

কাদা-পানি, ছোট-বড় গর্ত। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি রাস্তা। মনে হয়, যেন ফসল চাষের জন্যে প্রস্তুত করে রাখা খন্ড খন্ড জমি।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ঝাটিবুনিয়া এলাকার একটি কাঁচা রাস্তার এই হাল। উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া গ্রামের প্রধান রাস্তার সঙ্গে সংযুক্ত ঝাটিবুনিয়া জে আর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি।

বৃষ্টির সময় কাঁচা এই রাস্তাটিতে পানি জমে থাকায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ওইসব গর্তে পানি জমে রাস্তাটি চাষের জমিতে পরিণত হয়েছে। 

বেহাল এ রাস্তা দিয়ে ঝাটিবুনিয়া জে আর বালিকা বিদ্যালয়, মই ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও এন ডব্লিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্রছাত্রী এবং ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া মহিষ কাট ও শ্রীনগরসহ ৫-৬ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন।
এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে ছোট-ছোট যানবাহনও।

স্থানীয়দের চলাচলে কষ্টের প্রধান কারণ হলেও গ্রামীণ এ রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনও উদ্যোগ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও রাস্তাটি সংস্কারে কোন ভূমিকা রাখছে না। গ্রামবাসীরা জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েছে তারা। কিন্তু কারও নজরে আসছে না রাস্তাটি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

জে আর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মোসা. লামিয়া জানায়, বৃষ্টির সময় রাস্তাটিতে খুবই কাদা হয়। এ সময় কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া গ্রামের   মো. বজলুর রহমান সিকদার জানান, এ গ্রামে জন্মে আমরা অপরাধ করেছি। আমাদের ইউনিয়নের প্রায় রাস্তাই পাকা কিন্তু আমরা পড়ে আছি আগের জামানায়। কাদাযুক্ত রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আমিও এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।

এ ব্যাপারে আমড়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে জানানো হবে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা  চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী জানান, রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে ওই এলাকার লোকজনের খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের ব্যবস্থা করে এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘব করার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান  হোসেন বলেন, রাস্তাটি পাকা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

No comments

Powered by Blogger.