ইয়েমেনি ড্রোনের কাছে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরাজিত

মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা
আমেরিকা ও সৌদি সামরিক বাহিনী এবং তাদের উন্নত প্রযুক্তির বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক কখনো ইয়েমেনে ড্রোন গুলোকে শনাক্ত করতে পারে নি। এ ধরনের ড্রোন দিয়েই গত শনিবার সকালে সৌদি আরবের সর্ববৃহৎ স্থাপনা আরামকোর ওপর হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী।

ইয়েমেনিদের এই ড্রোন হামলার পর একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, সৌদি সরকার ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পেছনে যে শত শত কোটি ডলার খরচ করেছে তা নিতান্তই ব্যর্থ হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বর্তমানে সৌদি আরব সফরে রয়েছেন এবং তিনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের জবাব দেয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে পম্পেও স্বীকার করেছেন যে, আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইয়েমেনের হুতি সমর্থিত সেনাবাহিনীর হামলা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মাইক পম্পেওকে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইয়েমেনের ড্রোন হামলা বন্ধ করতে পারছে না তাহলে সৌদি আরব জুড়ে এ ব্যবস্থা মোতায়েনের কি প্রয়োজন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং সম্পদগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই যাতে এই ধরনের হামলা আর সফল হতে না পারে। একই সঙ্গে তিনি ইয়েমেনে ড্রোন হামলার ব্যাপকতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পম্পেও বলেন, এই ধরনের ভয়াবহ ও ব্যাপক হামলা তিনি এর আগে কখনো দেখেন নি।

সৌদি আরব আমেরিকার কাছ থেকে বহুসংখ্যক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ব্যাটারি কিনেছে যার অর্থ দাঁড়ায় যে, সৌদি আরব শত্রুর যেকোনো বিমান এবং স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলার পর তা ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে। মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আমেরিকার অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রেইথন প্রতিটি ব্যাটারির দাম সৌদি আরবের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার রেখেছে।
ইয়েমেনের কাসেফ ড্রোন

No comments

Powered by Blogger.