‘কাশ্মীরে উগ্রপন্থার উদ্ভব হতে পারে’

কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে যে বর্বর নিষ্পেষণ চলছে তাতে উগ্রপন্থার উদ্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার চীনের সফররত একদল প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় উভয় পক্ষ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সহযোগিতায় তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
এতে বলা হয়, চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জেনারেল শু কিলিয়াংয়ের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে ইমরান খানের সঙ্গে। বৈঠকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ‘নোঙর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ইমরান। বৈঠক নিয়ে ইমরান খানের কার্যালয় থেকে বলা হয়, দুই পক্ষ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে যখন পাকিস্তানের উত্তেজনা বিরাজ করছে, তখন এ ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন করছে চীন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছে তারা। সেখানে গত ১৬ই আগস্ট ভারতের পদক্ষেপের কড়া নিন্দা জানিয়েছে চীন। ইমরান খানের সঙ্গে চীনা ওই প্রতিনিধিরা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা করেছেন। এ সময় কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অ্যাকশনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান ইমরান খান। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারতের পদক্ষেপ শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, নিজেদের অপরাধকে ঢাকতে এবং বিশ্ববাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে ভারত ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ চালাতে পারে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে যে বর্বর নিষ্পেষণ চলছে তাতে উগ্রপন্থার উদ্ভব হতে পারে। এতে এ অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে। বৈঠকে দুই দেশের জাতীয় মূল স্বার্থের বিষয়ে পরস্পরকে সমর্থন দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন জেনারেল শু। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নতি ও দীর্ঘদিনের বিরোধগুলোর নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। ওদিকে জেনারেল শু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট আলভি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতাকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে পাকিস্তান। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তায় সমর্থন দেয়াকেও সমভাবে মূল্যায়ন করে। ওদিকে জেনারেল শু-এর এই সফরে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতা বৃদ্ধি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।

No comments

Powered by Blogger.