বিক্ষোভের ভয়ে সফর পেছালেন সৌদি প্রিন্স

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান চলতি মাসে লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইমেয়েনে সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়ার ভয়ে এ মাসের সফর পিছিয়ে মার্চ মাসে নিয়েছে রিয়াদ। ৩ দিনের এই সফরে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হতে পারে শঙ্কা করছে সৌদি আরব। চলতি ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে মার্চ মাসের ৭-৯ তারিখ সফরটি পেছানো হয়েছে। বিক্ষোভের পাশাপাশি ব্রিটিশ মিডিয়ায় সৌদি রাজপরিবার নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, যা সৌদি কূটনীতিকদের বিব্রত করেছে। গত নভেম্বর মাস থেকে নিজের ক্ষমতা সংহত করতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বীদের ঘায়েলের চেষ্টা করছেন বিন সালমান- এমন অভিযোগ অনেক বিশ্লেষকের। গত মাসে বিবিসি ‘হাউস অব সউদ: এ ফ্যামিলি এট ওয়ার’ নামে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে।
এতে ইরান-বৈরিতা, কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে। সৌদি রাজপরিবারের অন্তর্কলহ এবং ইয়েমেন সংকটে সৌদি আরবের দায় চিত্রিত হয়েছে এই ডকুমেন্টারিতে। ফলে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের ওপর সৌদি কর্মকর্তারা আর ভরসা করতে পারছেন না। রিয়াদ এক বিবৃতিতে এই ডকুমেন্টারির ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করেছে। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্ত্বে বোমা হামলা অব্যাহত আছে। ২০১৫ থেকে এ পর্যন্ত সেখানে হাজারো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে লন্ডন ও রিয়াদের উষ্ণ সম্পর্ক থাকলেও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের সঙ্গে যুবরাজের ব্যক্তিগত বনিবনা ভালো নয়। তাই সফরের আগে সবকিছু আবার খতিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ আল সৌদ লন্ডন সফরের সময় বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সে সময় যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজও বর্জন করে।

No comments

Powered by Blogger.