সম্পর্কে গতি আনতে ভারতে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন গতি আনতে গতকাল সোমবার দুই দিনের ভারত সফরে গেছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কিউ। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে কিউ এই সফর করছেন। গত মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর এটিই প্রথম বিদেশ সফর। সফরে কিউয়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী দো সু সু লুইন, মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং কর্মকর্তারা রয়েছেন। সফরের শুরুতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে থিন ও তাঁর সফরসঙ্গীদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরে কিউ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে টুইটার বার্তায় বলা হয়, ‘মিয়ানমার আমাদের জন্য বিশেষ একটি দেশ। ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে মিয়ানমারের অবস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।’ বার্তায় বলা হয়, ‘দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক যোগাযোগ দুই দেশের সম্পর্কের একটি স্থায়ী ভিত্তি গড়তে সহযোগিতা করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বার্তায় বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
যোগাযোগ, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নানা খাতে আমাদের কাজের সুযোগ রয়েছে।’ মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটারের স্থলসীমান্ত রয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চার রাজ্যের সঙ্গে রয়েছে মিয়ানমারের সীমান্ত। এই অঞ্চলে সক্রিয় বেশ কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী বেশ আগে থেকেই মিয়ানমারের স্থলসীমা ব্যবহার করে। এই সফরে দুই দেশের সীমান্তে অস্ত্র-মাদক-বন্য প্রাণী চোরাচালান বন্ধে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনা হবে। মিয়ানমারের পুলিশ বাহিনী, মাদক নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কর্মী এবং বন্য প্রাণী চোরাকারবারিদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করা বাহিনীর প্রশিক্ষণে সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের যোগাযোগ এবং ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সব যোগাযোগ বিষয়েও এ সফরে ইতিবাচক আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভারত সহযোগিতা করতে চায়। ইতিমধ্যে ভারত মিয়ানমারের ২০ জন এমপিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.