মুস্তাফিজের ইংল্যান্ডে খেলার পক্ষে হাথুরু

ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সাসেক্সে মুস্তাফিজুর রহমান খেলবেন কীনা তা নিয়ে আলোচনা শেষই হচ্ছে না। আইপিএল শেষে মুস্তাফিজ এখন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। একটি সূত্র জানায়, বুধবার তার এমআরআই রিপোর্টে সামান্য চোট ধরা পড়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবেন তিনি। এমনকি এখনই মাঠে নামতে পারবেন তিনি। বুধবার রাতে ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এসেই কাল কোচ জানালেন, শরীর ফিট থাকলে ইংলিশ কাউন্টি দল সাসেক্সে খেলতে অবশ্যই যাওয়া উচিত তরুণ এই পেসারের। বৃহস্পতিবার বিসিবিতে কোচ হাথুরুসিংহে বলেন, ‘মুস্তাফিজ যদি দ্রুত উন্নতি এবং পারফর্ম করে, তাহলে সবচেয়ে বেশি উপকার বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই। কাজেই ওর শরীরের যদি ক্ষতি না হয়, আমার মতে ইংল্যান্ডে গিয়ে খেলাই ওর জন্য ভালো হবে।’ তিনি বলেন, ‘পারফরম্যান্স ভালো করতে হলে ওই কন্ডিশনে খেলতে হবে। ওখানে না গেলে সেটা জানা যাবে না।’
বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটারের জন্য ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ সবসময় আসে না। সে দিকটাও ভাবতে বলছেন কোচ। হাথুরুসিংহে বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য ইংল্যান্ডে খেলার সুযোগ পাওয়া বিরল। যদি চারজন ক্রিকেটার পাঠানোর সুযোগ থাকত, আমি চারজনই পাঠাতাম। শেখার সেরা উপায় এটিই।’ বিসিবি জানিয়েছিল, মুস্তাফিজুরের অবস্থা বুঝেই তাকে ইংল্যান্ডে পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এখনই তাকে মাঠে নামানোর মতো অবস্থা রয়েছে। ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, মুস্তাফিজ অবশ্য ইংল্যান্ডে যেতে রাজি নন। মুস্তাফিজের বোলিং নিয়ে কোচ বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, তার রহস্য হয়তো খুব দ্রুতই সবাই বের করে ফেলবে। আমি তাকিয়ে আছি তার বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেটের দিকে। আমরা তার লড়াইয়ে থাকার পথ খুঁজে বের করব। আমাদের চ্যালেঞ্জ তার খেয়াল রাখা, উন্নতি করানো এবং বাংলাদেশের জন্য তৈরি রাখা।’
এদিকে আগামী দুই-তিন বছর বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দারুণ সময় বলেও মনে করছেন টাইগার কোচ। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, আগামী ২-৩ বছর হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালি সময়। তামিম, সাকিব, মাশরাফি, মুশফিক, রিয়াদের মতো ক্রিকেটাররা এখন নিজেদের সামর্থ্যরে চূড়ায়। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করার সময় এখনই।’ আগামী ২ বছরে বেশক’টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ, যার অনেকগুলোই দেশের বাইরে। সামনের পথচলায় এটিকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘সামনের সময়টুকু বাংলাদেশের জন্য যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনি চ্যালেঞ্জিংও। কারণ আগামী দু’বছরে আমরা দেশের বাইরেই বেশি খেলব। আমার দায়িত্বের গত দু’বছরে দেশের মাটিতে নিজেদের কন্ডিশনেই বেশি খেলেছি আমরা। সামনের সময়টা তাই চ্যালেঞ্জিং হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিটাও বোঝা যাবে।’ কোচকে নির্বাচক দলের সদস্য করার জন্য পরিকল্পনা করছে বিসিবি। এমন সিদ্ধান্তে হাথুরুসিংহেও জানালেন, নির্বাচক হলে খেলোয়াড়দের বুঝতে সহজ হবে তার।

No comments

Powered by Blogger.