গুজরাট দাঙ্গার রায়ে খুশি নয় বাদী জাকিয়া জাফরি

ভারতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর গুজরাট দাঙ্গার সেই ‘গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডের’ রায় হয়েছে। গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটির ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় ২৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়। তবে এই রায়ে ‘সন্তুষ্ট নয়’ বলে জানিয়েছেন নিহত সাবেক কংগ্রেস এমপি এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি একদল উন্মত্ত জনতা গুলবার্গ সোসাইটি আবাসনে আগুন ধরিয়ে দেয়। গোধরা-পরবর্তী এই হামলায় প্রাণ হারান কংগ্রেস দলের সাবেক সংসদ সদস্য এহসান জাফরিসহ ৬৯ জন। এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানান। গুজরাট দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মোদি।
এই হত্যাযজ্ঞ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন অসরতা আসনে বিজেপির বর্তমান এমপি বিপিন পটেল। ওই হত্যাকাণ্ডের সময়ও তিনি এমপি ছিলেন। তবে বিপিন পটেলকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিশেষ আদালত জানিয়েছে, দোষীদের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। অন্য ১৩ জনকে অন্যান্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে ৩৬ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। আগামী ৬ জুন আদালত দোষীদের সাজা ঘোষণা করবেন। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি শেষ হয়। শেষ শুনানির প্রায় আট মাস পর এই মামলার রায় ঘোষণা করলেন আমেদাবাদের বিশেষ আদালতের বিচারক পিবি দেশাই। এদিকে, এই রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলা বাদী এবং এই হামলায় নিহত সাবেক সংসদ সদস্য এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। তিনি বলেন, ‘এই রায়ে আমি হতাশ।
গুলবার্গ সোসাইটি
গণহত্যা মামলা
১। ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির হামলায় নিহত হন ৬৯ জন।
২। সোসাইটির বাঙলো ও ফ্ল্যাটগুলোয় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ
৩। এ গণহত্যায় ৬৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এদের ছয়জন বিচারের আগে ও বিচার চলাকালীন মারা যান।
৪। ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর গুলবার্গ সোইসাইটি গণহত্যার বিচার শুরু হয়।
৫। এ মামলায় সাক্ষী ছিলেন ৩৩৮ জন। তাদের মধ্যে আটজন ছিলেন নারী।
৬। ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষ।
৭। ২ জুন ২০১৬ রায় প্রকাশ

No comments

Powered by Blogger.