নির্বাচনে কারচুপির আশংকা সুচির

মিয়ানমারে ঐতিহাসিক জাতীয় নির্বাচন আগামী ৮ নভেম্বর। ২৫ বছর পরে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দেখা মিললেও এতে কারচুপির শংকা প্রকাশ করেছে দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সুচি। বুধবার এএফপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচনে কারচুপির বড় আশংকা রয়েছে। কিন্তু আমরা এ প্রতিযোগিতা থেকে পিছপা হব না। সুচি বলেন, দেশের জনগণ আমাদের পক্ষে। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায়ও ভোটারদের হৃদয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আমরাই জয় লাভ করব।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিবেশ আমাদের অনুকূলে থাকলেও ভোট গ্রহণে ক্ষমতাসীন দলের কারচুপি, দুর্নীতি সবকিছু নস্যাৎ করে দিতে পারে। ইতিমধ্যে, বিরোধীরা এনএলডি’র বিরুদ্ধে ধর্মঘেঁষা সাম্প্রদায়িক হিসেবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কট্টর বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের এ দলে ভেড়ার অজুহাত কাজে লাগিয়ে এ কুকর্ম করছে তারা। এছাড়া, সুচির আস্থাভাজন গণতান্ত্রিক সংগ্রামে পাশে থাকা নেতা শোয়েমানকে সংসদের স্পিকারের আসন থেকে সরিয়ে দেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সামরিক বাহিনী তাদের অবস্থান মজবুত করতেই তাকে অপসারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এসব বৈরী পরিস্থিতির পরেও আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের প্রচারণা গণতন্ত্রায়নের পথে ঊষার আলো জাগিয়েছে। এ জন্য বিজয় অতি নিকটে বলেও মনে করছেন তিনি।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রকন্যা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী
১৯ জুন ১৯৪৫
ইয়াংগুনে জন্ম। বাবা স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা অং সান ও মা দাউ খিন চি একজন নার্স
১৯৪৭
জে. অং সান গুপ্তহত্যার শিকার
১৯৬৯
ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে গমন। ব্রিটিশ অধ্যাপক মাইকেল এরিসকে বিয়ে করেন
১৯৮৮
মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন। এনএলডি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা
১৯৮৯
সুচি গৃহবন্দি হন (২০ বছর)
১৯৯০
নির্বাচনে এনএলডি’র জয়। জান্তা সরকারের প্রত্যাখ্যান
১৯৯১
শান্তিতে নোবেল জয়
১৯৯৯
স্বামী মাইকেল এরিসের মৃত্যু
২০০২
গৃহবন্দি থেকে মুক্তি
২০০৩
সুচির গাড়িবহরে হামলা, ৪ দেহরক্ষী নিহত। আবারও গৃহবন্দি
১৩ নভেম্বর ২০১০
গৃহবন্দি থেকে পুনরায় মুক্তি
২০১১
সাবেক সেনাপ্রধান থিয়েন সিয়েনের নেতৃত্ব আধাসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা
২০১২
পার্লামেন্ট আসনে বিজয়ী
২০১৪
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে সুচিকে নিষেধাজ্ঞা
২০১৫
৮ নভেম্বর নির্বাচনে এনএলডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে

No comments

Powered by Blogger.