হিন্দুদের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়, তাদের ওপর আক্রমণ এবং সাম্প্রদায়িকতা by বদরুদ্দীন উমর

২০১২ সালে কক্সবাজারে বৌদ্ধদের ওপর আক্রমণের পর কিছুদিন থেকে বাংলাদেশের নানা জায়গায় হিন্দু মন্দির, হিন্দুদের বাড়িঘর আক্রমণের ঘটনা প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। এসব আক্রমণে প্রাণহানি না হলেও হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ও ভেঙেচুরে ধ্বংস করে তাদের সম্পত্তির অনেক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষণীয় ব্যাপার এই যে, এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষত সরকারি দল ও সংবাদপত্রে অনেক কথাবার্তা ও আলোচনা হলেও কোনো পুলিশি তদন্ত কোথাও হয়নি। বৌদ্ধদের ওপর গত বছর এত বড় আক্রমণের পর সরকার তাদের মন্দির আবার নির্মাণ করে তাদের ক্ষতিপূরণের কিছু ব্যবস্থা করলেও সে ঘটনার ওপর কোনো তদন্ত হয়নি। কারও শাস্তি হয়নি। এ কারণে মন্দির পুনঃনির্মাণ করে দেয়া সত্ত্বেও সরকারের বিরুদ্ধে স্থানীয় বৌদ্ধদের অনেক ক্ষোভ আছে। মন্দির পুনঃনির্মাণের ফলে এলাকার বৌদ্ধদের মধ্যে কোনো খুশির ভাব নেই।
বৌদ্ধদের ওপর সেই বড় রকম আক্রমণের সময় সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ই অপর পক্ষের ওপর দোষ চাপিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে অনেক প্রচার করেছিল। আসলে সেই আক্রমণের ঘটনা কোনো দলের পক্ষ থেকে ঘটানো হয়নি। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্য দলের লোক, এমনকি কোনো দলে নেই এমন লোকেরাও সেই কাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিল। সরকারি দল আওয়ামী লীগের কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত না থাকলেও তাদের লোকজন বেশ ব্যাপকভাবে বৌদ্ধদের ওপর আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা এবং তার প্রমাণ অগ্রাহ্য করার মতো অবস্থা না থাকার কারণেই সরকার তা নিয়ে কোনো তদন্ত করেনি। কারও শাস্তির ব্যবস্থা না করে সরকারি খরচে বৌদ্ধদের মন্দির পুনঃনির্মাণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের খুশি করতে চেয়েছিল। বিষয়টি বৌদ্ধদেরও চোখ এড়িয়ে যায়নি। এ জন্য মন্দির নির্মাণ এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সেগুলোর উদ্বোধন উপলক্ষে স্থানীয় বৌদ্ধদের মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। যা দেখা গিয়েছিল তার মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া আর কিছু ছিল না।
বৌদ্ধদের ওপর আক্রমণের ক্ষেত্রে যেমন, হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ক্ষেত্রেও তেমনি। হিন্দুদের ওপর বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ হলেও সেগুলোর কোনোটিরই তদন্ত হতে দেখা যায় না! তার জন্য কারও শাস্তি হয় না!! অতি সম্প্রতি পাবনা ও লালমনিরহাটে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের কতকগুলো ঘটনা ঘটেছে। পাবনার ঘটনাবলীর ওপর যে রিপোর্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, তার দিকে তাকালে এ বিষয়টি বোঝার কোনো অসুবিধা হবে না। বিগত আগস্ট মাস থেকেই পাবনার সাঁথিয়ার একাধিক স্থানে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। হয়তো এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকবে যার কোনো রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি।
কয়েক যুবক ২৪ আগস্ট সাঁথিয়ার বনগ্রাম গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপালচন্দ্র ঘোষের কামরায় ঢুকে তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ি ইত্যাদি দিয়ে মারধর করে। এই মারধরের কারণ চাঁদাবাজদের দুই লাখ টাকা দিতে তার অস্বীকৃতি। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তিনি কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কিছু না করায় এবং তারা তার পরিবারের লোকদের অপহরণের হুমকি দেয়ায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করেন। গোপালচন্দ্র চাঁদাবাজদের কোনো টাকা দেয়ার কথা স্বীকার না করলেও স্থানীয় লোকজন বলেন, তিনি তাদের এক লাখ সত্তর হাজার টাকা দিয়েছেন। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বিশেষ কিছু না বললেও একথা বলেন, ‘হিন্দু পরিবার ও হিন্দু ব্যবসায়ীরা নিয়মিত চাঁদাবাজির শিকার, কিন্তু জীবনের ভয়ে তারা এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস করেন না।’ (Daily Star, 07.11.2013)
স্থানীয় লোকজন বলেন, চাঁদাবাজদের নেতা ফজলুর খান বিগত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে, কিন্তু তার দলের অন্য লোকরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। তারা বলেন, ২০ জনের একটা গ্র“প সরকারি দলসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে হিন্দুদের ওপর এই নির্যাতন চালায়। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী এদের পেশিশক্তিকে কাজে লাগায়। এদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা কোরবান আলী বলেন, এই চাঁদাবাজরা কোনো রাজনৈতিক দলের লোক নয়। এরা স্রেফ ক্রিমিনাল। (Daily Star, 07.11.2013)
সাঁথিয়া বিএনপির সভাপতি মাহবুব মুরশেদ জ্যোতি দাবি করেন, এই ক্রিমিনালরা আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে থেকেই তাদের অপরাধমূলক কাজকর্ম করে এবং তাদের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। আসলে এই দুর্বৃত্ত গ্র“পের লোকদের স্পর্শ করার ক্ষমতা কারও নেই, কারণ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই নেয় না। (Daily Star, 07.11.2013)
গোপালচন্দ্র ঘোষের ওপর আক্রমণের মাসখানেক পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর নির্বাচনী এলাকা বনগ্রাম বাজারে ওই চাঁদাবাজরা সীমা জুয়েলারিতে গিয়ে তিন লাখ টাকা দাবি করে। দোকানের মালিক বাঁশি রাজবংশী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে তারা টেবিল ফ্যান দিয়ে আঘাত করে। তিনি সে যাত্রায় তাদের মিষ্টি খাওয়ার নাম করে আট হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করলেও পরে এলাকার একশ’র বেশি ঘর এবং দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের সময় তার দোকানও আক্রান্ত হয়। অধিকাংশ হিন্দু পরিবার ও ব্যবসায়ীকে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাঁদাবাজদের এই গ্র“পকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। কিন্তু তারা পুলিশ অথবা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ করেন না জীবন বিপন্ন হওয়ার ভয়ে। কিছুসংখ্যক মুসলমান ব্যবসায়ীকেও নিয়মিত চাঁদা দিতে হয় এই চাঁদাবাজদের (Daily Star, 07.11.2013)। একশ’ হিন্দুর বাড়িঘর-দোকানের ওপর আক্রমণের জন্য স্থানীয় লোকেরা পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন। বনগ্রাম বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান ডেইলি স্টারের রিপোর্টারকে বলেন, অধিকাংশ হিন্দু ব্যবসায়ী গোপনে চাঁদাবাজদের টাকা দিতে বাধ্য হন। বনগ্রাম বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৩৪৩। তাদের মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা ৯৯। বনগ্রামে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৯০০। এদের এক-তৃতীয়াংশ হিন্দু, যারা ভয়ভীতির মধ্যেই বসবাস করেন।
শাহপাড়া ও ঘোষপাড়া এলাকায় একশ’ ঘর হিন্দুর ঘরবাড়ির ওপর আক্রমণের চারদিন পর ৬ নভেম্বর সাঁথিয়া এলাকার সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও স্থানীয় প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানককে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় যান। সেখানে তারা হিন্দুদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। মিঠু ও রুবেল নামে দুই চাঁদাবাজ ক্রিমিনালকে স্থানীয় প্রশাসন আয়োজিত তাদের সেই মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়! ডেইলি স্টার পত্রিকায় তাদের ছবি প্রতিমন্ত্রী টুকুর ঠিক পেছনেই স্লোগান দেয়া অবস্থায় দেখা যায়! এই ছবি দেখে স্থানীয় লোকজন ও আক্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা জোরের সঙ্গে বলেন, তারা দু’জনই লুটপাট ও ভাংচুরে অংশগ্রহণ করেছিল। এছাড়া পার্শ্ববর্তী গ্রাম গৌরীপুরের বাসিন্দা অ্যানি নামে একজন চোর ও চাঁদাবাজকেও এই মিছিলে দেখা যায়। সেও হিন্দুদের ওপর হামলায় অংশগ্রহণ করে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অন্য দুই মন্ত্রী, পুলিশের আইজি, র‌্যাবের বড়কর্তা প্রমুখসহ একটি বড় সরকারি দল নিয়ে হিন্দুদের বিরুদ্ধে আক্রমণের প্রতিবাদ মিছিল করলেও আজ পর্যন্ত চাঁদাবাজ ক্রিমিনালদের কাউকেই গ্রেফতার করা বা কোনোভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়নি। সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই দুর্বৃত্তরা সম্পর্কিত না থাকলে প্রশাসন ও পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা কি সম্ভব ছিল? মন্ত্রী ও পুলিশ-র‌্যাব কর্মকর্তাদের মিছিলে কিভাবে এলাকার সব থেকে ভয়াবহ চাঁদাবাজ ক্রিমিনালরা অংশগ্রহণ করতে পারে? এর ব্যাখ্যা কী?
আসল কথা হল, এই চাঁদাবাজ ক্রিমিনালদের কোনো প্রকৃত রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এরা সুযোগ-সুবিধামতো সব দলেরই লোক। সব দলই এদের ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে নিজেদের রাজনীতির কাজে লাগায়। বর্তমানে যেহেতু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, এ জন্য এই দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সরকারের আশ্রয়ে থেকেই নিজেদের সব অপরাধমূলক কাজ ও সেই সঙ্গে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে। হিন্দুদের ওপর এই আক্রমণকে আওয়ামী লীগ ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বুদ্ধিজীবী এবং অন্য অনেকেও সাম্প্রদায়িক বলে আখ্যায়িত করে। তারা প্রচার করে, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং হিন্দুরা তার শিকার হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সে রকম কিছু হচ্ছে না। বাংলাদেশে এখন চারদিকে ব্যাপকভাবে লুটতরাজ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চলছে। এসব যে চলছে তার রিপোর্ট প্রতিদিনই সংবাদপত্রে ভূরি ভূরি পাওয়া যায়। এই লুটতরাজ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কোনো সাম্প্রদায়িক চরিত্র নেই। সাধারণভাবে হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাই এর শিকার। তবে কোনো কোনো জায়গায় সংখ্যালঘু হিসেবে হিন্দুদের ওপর এই আক্রমণ তুলনামূলক বেশি হচ্ছে। এর সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার সম্পর্ক নেই।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ৭ নভেম্বর পাবনার বনগ্রাম সফর করেন। সে সময় তিনি ডেইলি স্টারে প্রকাশিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর সঙ্গে মিছিলে অংশগ্রহণকারী কয়েকজনের ছবি পাবনার সহকারী পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট আবু বকর সিদ্দিককে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন, যেখানে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় সাংবাদিকরা ক্রিমিনালদের চিহ্নিত করতে পারেন, সেখানে পুলিশ কেন তা পারে না? এর জবাব সবারই জানা। কাজেই এ নিয়ে এখানে বেশি আলোচনার কিছু নেই। এখানে যে বিষয়টি বিশেষভাবে বলা দরকার তা হল, বাংলাদেশের কিছু তথাকথিত সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লোক পাবনার এই ঘটনাসহ এ ধরনের অন্য ঘটনার উল্লেখ করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে যেভাবে কথাবার্তা বলেন, তার মধ্যে সত্যতা বলে কিছু নেই। আসল কথা হল, বাংলাদেশে এখন চারদিকে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের বিস্তার হয়েছে এবং তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সুযোগে সব রকম ক্রিমিনাল তাদের তৎপরতা চালাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো যতই জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে, ততই তারা এ ধরনের ক্রিমিনালদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। কিন্তু অবস্থা এতই ভয়াবহ যে, এই অরাজকতা এখন এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে একে নিয়ন্ত্রণ করা কারও পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে সমাজে কারও নিরাপত্তা বলে কিছু থাকছে না। হরতালের পর হরতাল দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখন এই অরাজকতা রাস্তাতেও ছড়িয়ে দিয়েছে। হিন্দুদের ওপর এখন যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে, একে ওই পরিপ্রেক্ষিতেই দেখতে হবে। এই আক্রমণে স্থানীয় মুসলমানরা অংশগ্রহণ করছেন না, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার সময় যেমন ঘটে থাকে। উপরন্তু তারা এর বিরোধিতা করছেন। তাছাড়া সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে হিন্দুরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় মুসলমানদের ঘরবাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
হিন্দুদের ওপর আক্রমণকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন-শৃংখলার অবনতি এবং অরাজকতা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিতভাবে না দেখে যারা সাম্প্রদায়িকতা হিসেবে দেখেন, তারা ভারতের বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাভাজন হতে পারেন। কিন্তু এর দ্বারা এই পরিস্থিতির বিকৃত ব্যাখ্যাই করা হবে এবং এর দ্বারা পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোনো পথ তো পাওয়া যাবেই না, উপরন্তু সে চেষ্টা বিপজ্জনকভাবে বিপথগামী হবে।
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

No comments

Powered by Blogger.