মেঘের এই গল্পটা by ধ্রুব এষ

তারা মাঠে বসে গল্প লিখছিল। এমন জোর হাওয়া দিল হঠাৎ, সব গল্প উড়ে গেল হাওয়ায়। একি! একি! একি! একি! তারা উঠে গল্প ধরতে ছুটল। কেউ আঁকশি নিয়ে, কেউ মই নিয়ে।
ছুট! ছুট! ছুট!
এই যে মাঠের পাড়ে দেখা যাচ্ছে গল্পদের।
ছুট! ছুট! ছুট!
এই যে নদীর বাঁধে দেখা যাচ্ছে গল্পদের।
ছুট! ছুট! ছুট!
এই যে মেঠোপথে এখন গল্পরা।
এই যে রোদে। এই ছায়ায়।
এই যে বড় সড়কের দিকে।
বড় সড়ক বাঁক নিতেই উধাও!
সব গল্প একসঙ্গে উধাও!
হায়! হায়! হায়!
কোথায়? কোথায়?
কোথায় উধাও হলো গল্পরা?
‘ওই যে পাহাড়ে।’
কে বলল?
ছোট্ট একটা পাখি।
‘পাহাড়! পাহাড়ে! ওই যে! ওই যে!’
আবার তারা হইহই করে ছুটল। ছোট্ট পাখিকে ছোট্ট একটা ধন্যবাদ দিতেও কারোর মনে থাকল না। তাতে বয়েই গেল ছোট্ট পাখির। আরেক দিকে উড়াল দিল সে। আর শিস দিল, টুইট! টুইট!
গল্পরা এখনো পাহাড়ে।

তারা হইহই করে পাহাড়ে উঠল। কত উঁচু পাহাড়। তারা উঠল আর উঠল। উঠতে উঠতে দেখল, আরে সর্বনাশ। সব গল্প উঠে গেছে মেঘে। হইহই হইহই করে তারা যখন পাহাড়ের চূড়ায় উঠল, মেঘে মেঘে আকাশে উড়ছে তখন গল্পরা। উড়ে চলে যাচ্ছে এদিক-ওদিকে। এখন উপায়?
বুদ্ধি করে মইয়ের সঙ্গে মই জুড়ল তারা। আঁকশির সঙ্গে আঁকশি জুড়ল।
এই লম্বা এক মই হলো আর এই লম্বা এক আঁকশি হলো। সেই মইতে চড়ে সেই আঁকশি দিয়ে আকাশের মেঘ থেকে তারা পেড়ে আনল গল্পদের। তবে সব গল্প কি আর পেড়ে আনতে পারল নাকি?
পারল না।
কিছু কিছু গল্প ঠিকই থেকে গেল মেঘের আড়ালে-আবডালে পালিয়ে।
বিশ্বাস হলো না?
এই গল্পটা তাহলে কোত্থেকে, শুনি?

No comments

Powered by Blogger.