রংপুর-লালমনিরহাট থেকে এরশাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন

রংপুর-৩ (সদর) ও লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়ের দুদিন আগে আজ বুধবার এরশাদের পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়।

রংপুরে এরশাদসহ জাতীয় পার্টির পাঁচজনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। এরশাদের পক্ষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান। সেই সঙ্গে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে মসিউর রহমান, রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আসাদুজ্জামান চৌধুরী, রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনে করিমউদ্দিন ভরসা ও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে নূর আলমও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। রংপুর-৬ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ এরশাদসহ অন্যদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন পেয়েছেন বলে জানান।
মসিউর রহমান বলেন, এরশাদের নির্দেশে সব আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।

এরশাদ লালমনিরহাট-১ ও তাঁর ভাই জি এম কাদের লালমনিরহাট-৩ (সদর উপজেলা) আসন থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।

আজ বিকেল সোয়া চারটার দিকে লালমনিরহাট জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিমের কাছে এরশাদ ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম এম কাদেরের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন রংপুর মহানগর জাপার সভাপতি মসিউর রহমান।

লালমনিরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, লালমনিরহাট-১ আসনে এরশাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদনপত্র এবং লালমনিরহাট-৩ আসনের জন্য কাদেরের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা নিয়েছি।

এরশাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি ফেরত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠিতে তারিখ ভুল লেখার কারণ দেখিয়ে তা গ্রহণ করেননি ঢাকার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ ব্যাপারে ‘সহযোগিতা’ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী।

আজ বুধবার এরশাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে দলের একদল প্রতিনিধি ঢাকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান।

এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ আক্তার মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমের কাছে অভিযোগ করেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতিনিধিরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে গেছেন। কিন্তু সেখানে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।’

তবে ঢাকা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জিল্লার রহমান প্রথম আলো ডটকমের কাছে দাবি করেছেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে এরশাদের দলের দুজন প্রতিনিধি এসেছিলেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠিতে তারিখ লেখা ছিল ৫ ডিসেম্বর। যেহেতু ওই দিন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ ছিল, তাই বিভাগীয় কমিশনার ওই চিঠি গ্রহণ করেননি।’

জিল্লার রহমান আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে এরশাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। জাপা চেয়ারম্যান ভুলের বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

No comments

Powered by Blogger.