লোরকার স্মৃতিময় বাড়িতে by সাজ্জাদ শরিফ

হোটেলের আজকের রিসেপশনিস্টটি দিব্যি হাসিখুশি। আগের কয়টা দিন যে ডিউটিতে ছিল, তার মতো রোবট নয়। ওর মুখে হাসি বলতে তো কিছু ছিলই না, অভিব্যক্তি পর্যন্ত না।
কথা বলত শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের মতো শব্দ গুনে গুনে। স্প্যানিয়ার্ডদের মতো একেবারেই নয়। রবের ব্রেসোঁ ওকে পেলে অভিনেতা হিসেবে নিশ্চিত লুফে নিতেন।

আজকের রিসেপশনিস্ট তো শুধু মানুষ নয়, রীতিমতো স্প্যানিয়ার্ড। ‘ওলা। কী করতে পারি তোমাদের জন্য?’ বলে নিজেই এগিয়ে এল হাসিমুখে। যখন শুনল আন্দালুসিয়ার আইকন কবি ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকার বাড়ি হুয়ের্তা দে সান ভিসেন্তে যাব, ওর চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ‘শোনো, আমার নানা ফ্রানসিসকো মুরিইয়ো লোরকার বাবার গাড়ি চালাত।’ বেশ গর্বিত স্বরে বলল সে, ‘পাকো দে লোখা নামে এ তল্লাটে সবাই তাকে চেনে। লোরকার স্মৃতি নিয়ে যে সংকলনটি স্পেন থেকে প্রথম বেরিয়েছিল, তাতেও আমার নানার লেখা আছে।’লোরকার শোয়ার ঘর

পথঘাটের খুঁটিনাটি সব জানিয়ে দিল সে। এখান থেকে গাড়ি নেওয়ার মোটেই কোনো দরকার নেই। আমাদের হোটেলের পেছনে যে হাইওয়ে, তার গা ঘেঁষে সোজা চলে গেছে একটা পায়ে হাঁটাপথ। সেটা ধরে হেঁটে গেলেই ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা পার্ক। আর লোরকার বাড়ি, যা এখন একটি হাউজ মিউজিয়াম, সে পার্কের কেন্দ্রে। পায়ে হেঁটে বড় জোর পনেরো মিনিট। দিনের শেষে আজ হঠাত্ কিছুটা সময় বেঁচে গেছে। শিল্পী-দম্পতি বন্ধু ঢালী আল মামুন ও দিলারা বেগম জলি প্রস্তাব দিল, একটু ঢুঁ মেরেই আসা যাক না লোরকা জাদুঘরে।

এস্তেবান গোমেস—আমাদের রিসেপশনিস্ট—বলেছে বটে পনেরো মিনিট, কিন্তু সেই পনেরো মিনিটও পার হয়ে গেল আধা ঘণ্টা আগে। হাঁটাপথ আর শেষ হয় না। এই একটা ব্যাপারে দেখতে পেলাম স্পেন আর বাংলাদেশ একাকার। নিজের এলাকার দূরত্ব সবাই কমিয়ে বলতে ওস্তাদ। পাঁচ ঘণ্টার দূরত্বকে বলবে আড়াই ঘণ্টা, বিশ মাইলের পথকে দশ মাইল।

আন্দালুসিয়ার গ্রানাদায় লোরকার সাদা বাড়ি 
ইয়োরোপের সূর্যও বড় প্রতারক। লোরকা পার্কে যখন গিয়ে পৌঁছলাম, তখন রীতিমতো রাত। কিন্তু পশ্চিমে সামান্য হেলে পড়া সূর্য সেটা টের পেতে দেয়নি। চারদিকে অদ্ভুত এক ছায়াময় আলো জেগে আছে। তার মধ্যে গাছের সুবিন্যস্ত প্রবাহ। ফাঁকে ফাঁকে মানুষের চিহ্ন। বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বেড়াতে এসেছে বাবা-মা, গাছের গোড়ায় গা এলিয়ে বান্ধবীকে আদর করছে মুগ্ধ যুবক। অপার্থিব এই প্রেমময় আবহাওয়া লোরকার কবিতার পাণ্ডুলিপিরই কোনো ছিন্ন পাতা বলে বিভ্রম তৈরি হয়।

বাড়িটি খুঁজে পেতে অসুবিধা হলো না। চৌচালা গড়নের পরিমিত সাদা বাড়ি। সবুজ দেয়াল, সবুজ জানালা। বাড়ির মাথায় ঝুঁটির মতো হাওয়ামোরগ। বাড়িটা পেলাম সত্যি, কিন্তু জাদুঘর ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে। যাক বন্ধ হয়ে। মনের তৃষ্ণা না মিটুক। চোখের তৃষ্ণা তো আপাতত মিটল। আজ তো সে রকম কোনো আসার পরিকল্পনাও ছিল না। কাল আসব আবার।
হুয়ের্তা দে সান ভিসেন্তেতে আজ সকাল সকালই বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সাইনাসের প্রচণ্ড ব্যথা কাবু করে দিল। নাশতা সেরে, ওষুধ খেয়ে, এক পশলা ঘুম দিয়ে বেরোতে বেরোতে বেজে গেল ১২টা। সঙ্গে শাওন—আমার স্ত্রী।
লোরকা পার্কে ঢুকতেই কানে এসে ঢোকে গাছের পাতায় বাতাসের সরসর শব্দের সঙ্গে মিশে থাকা আরেকটি অনুচ্চ ধ্বনি। একটানা চাপাকান্নার এক অবিরাম প্রবাহ যেন উদ্যানটিতে বয়ে চলেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানা হয়ে যায়, জায়গায় জায়গায় ফোয়ারা আর পানির চলমান ক্ষীণ স্রোত এই ধ্বনির উত্স। আন্দালুসিয়ার আরব ঐতিহ্য স্প্যানিয়ার্ডদের মনে পানির প্রতি গভীর সম্মোহ স্থায়ী করে গেছে। এই চাপাকান্না তো লোরকার কবিতারও অন্তর্লীন সুর।
উদ্যানের মাঝখানে ভূমধ্যসাগরীয় রোদে লোরকার সাদা বাড়িটি ঝলমল করছে। কাল সন্ধ্যার ম্লান আলোয় যাকে মনে হচ্ছিল বিষণ্ন, এখন সেটি দিব্যি হাসিখুশি। লোরকার যুবা বয়সে, ১৯২৬ সালে, তাঁর বাবা রদরিগেস লোরকা সপরিবারে এই বাড়িতে এসে উঠেছিলেন। বাড়িটিকে তাঁরা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন গ্রীষ্মাবাস হিসেবে। লোরকা তত দিনে সাহিত্যের বহির্মহলে পা রাখতে শুরু করেছেন। আবেগময় উদ্দীপনায় কবিতা আর গান নিয়ে নানা কর্মোদ্যোগে ছুটে বেড়াচ্ছেন স্পেনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। তবু এই বাড়ির আবেশ আজীবন তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। রক্তবিবাহ বা ইয়ের্মার মতো নাটক আর ইগনাসিও সানচেস মেহিয়াসের জন্য শোকগাথা বা দিওয়ান ই তামারিত-এর মতো বইয়ের কবিতাগুলো লিখেছেন এখানে বসেই। স্পেনের গৃহযুদ্ধের সূচনায়, আগস্ট ১৯৩৬-এ, ফ্রাংকোর গুণ্ডাদের হাতে খুন হওয়ার আগের কয়েকটা দিনও মাদ্রিদ থেকে ফিরে লোরকা ছিলেন এই বাড়িতে। লোরকার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর শোকগ্রস্ত পরিবার এই বাড়ি ছেড়ে সেই যে চলে যায়, আর কখনো এখানে ফিরে আসেনি।
গ্রানাদার উপকণ্ঠে লোরকার স্মৃতিভারাতুর ও পরিবার-পরিত্যক্ত সেই বাড়িটি এখন হাউজ-মিউজিয়াম বা গৃহজাদুঘর। লোরকার উত্তরসূরিরা এটিকে জাদুঘরে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নিলে লোরকার জগদ্বিখ্যাত বন্ধুবান্ধবেরা তাঁদের সঙ্গে এসে যোগ দেয়। ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা ফাউন্ডেশন কবির সব স্মৃতিচিহ্ন দিয়ে দেয় এই জাদুঘরে। হাত মেলায় এখানকার স্থানীয় সরকারও। তারাই এখন এর তদারকির দায়িত্বে।
কিন্তু আজ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সোমবার। আমরা এসেছি সময়সূচি না দেখে, বোকার মতো। বাড়ির চারদিকে ঘুরে ঘুরে উঁকিঝুঁকি মারছি। সব দরজায় তালা। বুঝতে পারছি না, ব্যাপারটা কী! মূল বাড়ির সংলগ্ন ছোট্ট একটি ঘরের জানালা খোলা দেখে এগিয়ে গেলাম। অফিসমতো ঘর। কিছু প্রদর্শ-সামগ্রীও সাজানো। ভেতরে একজন মাত্র লোক, মধ্যবয়সী ও সুদর্শন, কাগজপত্র গুটিয়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাদের দেখে দু হাত সজোরে নেড়ে নেড়ে এস্পানিওল ভাষায় অনবরত কথা বলে যা বোঝাতে চাইলেন, তার সরল অর্থ, প্রতি সোমবার, মানে আজও এ জাদুঘরের সাপ্তাহিক ছুটির দিন।
লোরকা আর সেই পিয়ানো 
মাথায় বাজ পড়ল। দ্রুত ব্যাগ হাতড়ে আমি আমার অনুবাদ করা লোরকার কবিতার সংকলন রক্ত ও অশ্রুর গাথা বের করে তাঁর হাতে ধরিয়ে দিলাম। প্রচ্ছদে লোরকার আঁঁকা ছবি। বইয়ের প্রিন্টার্স লাইন বের করে ইংরেজি হরফে লোরকা আর আমার নামটি দেখিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করলাম যে, আমিও লোরকার একজন অকিঞ্চিত্কর অনুবাদক বটে। সেটাই ভোজবাজির মতো কাজে দিল। অপূর্ব হাসিতে মুহূর্তে ভরে গেল তাঁর মুখ। তক্ষুনি উঠে দাঁড়িয়ে দরজা খুলে আমাদের তিনি ভেতরে টেনে নিলেন।
বেচারা ইংরেজি জানেন না। এস্পানিওলে একনাগাড়ে চলতে লাগল কথার স্রোতোধারা। বুঝলাম, তিনিই এই জাদুঘরের কিউরেটর। উষ্ণতা ও আন্তরিকতার স্পর্শে ভাষার ব্যবধান উবে গেল এক ঝটকায়। পাশেই কয়েকটি বইয়ের তাকের দিকে ইঙ্গিত করে বোঝাতে চাইলেন, আমার অনুবাদবইটিও প্রদর্শ-সামগ্রী হিসেবে ওখানে ঠাঁই পেতে চলেছে। তাকিয়ে দেখি, নানা দেশের বিচিত্র ভাষায় লোরকার অনুবাদ এবং তাঁর জীবন ও সাহিত্যের আলোচনার বই ওখানে যত্ন করে সাজানো।
আমার হাতেও তিনি উপহার তুলে দিতে শুরু করলেন অকৃপণভাবে। লোরকার ছবি আঁকার নেশা ছিল। পাণ্ডুলিপির ওপর আঁকিবুকিরও অভ্যাস ছিল রবীন্দ্রনাথের মতো। লোরকার হস্তাক্ষরে সে রকমই ছবিসমেত কবিতার একটি পাতার মুদ্রিত কপি আমাকে দিলেন। দিলেন জাদুঘরের বিভিন্ন স্মারক আর লোরকার বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র।

ভেবেছিলাম সেখানেই শেষ। কিন্তু না। এবার তিনি আমাদের নিয়ে এলেন লোরকার মূল বাড়ির দরজার সামনে। তালা খুলে আমাদের নিয়ে ঢুকলেন ভেতরে। একের পর এক খুলে দিতে শুরু করলেন সবগুলো জানালা। একরাশ আলো হুড়মুড় করে ঢুকে যেন উদ্ভাসিত করে দিল সেই বাড়ির চাঞ্চল্যভরা অতীত ছবিটি। খাবার টেবিলের ওপর এখনো পরিচ্ছন্ন ও ঝলমলে রঙিন সূচিকর্মের আবরণী। পাশের টেবিলে বাসন, পেয়ালা, হাঁড়িকুড়ি। যেন এখনো ব্যবহার্য। যেন ওপরতলা থেকে নেমে এসে লোরকা এখনই চেয়ার টেনে খেতে বসবেন।
তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাত্র তিন বছর আগে এই বাড়ি সম্পর্কেই লোরকা লিখেছিলেন, ‘সবাই মিলে পুরো গ্রীষ্মঋতুটি আমরা এখানে কাটাব। পরিশ্রমও করব কঠোর। আর সেটা এখানেই, আমার এই হুয়ের্তা দে সান ভিসেন্তেতে। এখানেই সবচেয়ে প্রশান্ত মনে আমি আমার নাটকগুলো লিখে উঠতে পারি।’
গৃহজাদুঘর হিসেবে পুরো বাড়িটি রেখে দেওয়া হয়েছে এখনো আগের মতো অবিকল। ফটক দিয়ে ঢুকেই প্রবেশকক্ষ। পর পর খাবার ঘর আর হেঁসেল। খাবার ঘরের ভেতর দিয়ে দোতলায় উঠে যাওয়া মোজাইক বসানো কাঠের সিঁড়ি। দোতলায় লোরকার পিয়ানোকক্ষ আর শোবার ঘর। জানালার পর্দা, বিছানার চাদর, রান্নাঘরের সেই তৈজসপত্র লোরকা আর তাঁর পরিবারের সজীব মুহূর্তকে এই বাড়িতে চিরস্থির করে রেখেছে। যা কিছু পাল্টেছে, তা শুধু দেয়ালে ঝোলানো পরবর্তী সময়ের কিছু চিত্রকলা, লোরকার প্রতি তাঁর বন্ধুদের ভালোবাসার চিহ্ন। নানা শিল্পীর মধ্যে সেখানে বিশেষভাবে চোখে পড়ে সালভাদোর দালি ও রাফায়েল আলবের্তির শিল্পকর্ম।
আমার মগ্নতা ভেঙে আবারও কথা বলে উঠলেন কিউরেটর। আমার মাথায় ছবি তোলার কোনো চিন্তাই তখন কাজ করছে না। জাদুঘরের ভেতরে ছবি তোলাও নিষিদ্ধ। কিন্তু শাওনকে তিনি ছবি তুলতে বললেন।
দোতলায় উঠে আমরা লোরকার শোয়ার ঘরে ঢুকলাম। এক চিলতে ঘর। ধবধবে সাদা বিছানাটির আকার দেখলে মনে হবে কোনো কিশোরের। মাথার কাছে সবুজ দরজাঅলা ঝুলবারান্দা। ওপারে গাছগাছালির সবুজে ছাওয়া বাগান। মনে পড়ে যায় লোরকার কবিতার চরণ, ‘সবুজ তোমাকে চাই ও সবুজ।/ সবুজ বাতাস। সবুজ বিটপ।’ বিছানার উল্টোপাশে সেই টেবিল, যার ওপরে বিশ শতকের কিছু অমর সাহিত্যকর্ম রচিত হয়েছে।
সেখান থেকে এলাম পিয়ানোকক্ষে। ছোট্ট পরিসরের প্রায় পুরোটাই দখল করে আছে বিরাট এক পিয়ানো। এই সেই পিয়ানো, লোরকা যেটিতে সৃষ্টি করেছিলেন অজস্র সুর। তাঁর আশৈশব স্বপ্ন ছিল সংগীতজ্ঞ হওয়ার। কিশোর বয়সেই লোরকা পিয়ানো ও গিটারে পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন। পিয়ানোকক্ষে ঢুকেই কিউরেটর আমাদের অবাক করে দিয়ে পিয়ানোটা খুলতে শুরু করলেন। তারপর আমার অনুবাদবইটি খুলে লোরকার একটি ছবি দেখালেন: এই ঘরে ঠিক এই পিয়ানোটিই লোরকা বাজাচ্ছেন। একই ভঙ্গিতে আমাকেও ছবি তুলতে বললেন তিনি। তীব্র অস্বস্তি আমাকে আড়ষ্ট করে রাখল। এবার আমাকে জোর করে বসিয়ে দিলেন পিয়ানোর সামনে। মানুষের হাতের স্পর্শ তো আর পিয়ানোর রিডে লেগে থাকে না। লোরকারও নেই। কিন্তু সেই পিয়ানো স্পর্শ করার অনুভূতি আমি ব্যাখ্যা করব কী করে?
কিউরেটরকে ধন্যবাদ ও বিদায় জানিয়ে লোরকার বাড়ি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আবিষ্ট মন নিয়ে ফিরে যাচ্ছি হোটেলে। অফিসঘর থেকে হাতে করে কী একটা নিয়ে আবার দৌড়ে এলেন কিউরেটর। আরেকটি উপহার নাকি আমাকে না দিলেই নয়। লোরকার পিয়ানো আর লা আর্হেন্তিনিতার কণ্ঠে ১৯৩১ সালে হিজ মাস্টার্স ভয়েস লোকগানের একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। সে সময় নাকি লোকের মুখে মুখে ফিরেছে সেসব গান। লোরকা জাদুঘর সেই রেকর্ডটি এখন সংরক্ষণ করেছে সিডিতে। সেই সিডির একটি কপি তিনি আমাকে উপহার দিলেন।
ফিরে আসতে আসতে সেই সিডি হাতে নিয়ে দেখি, প্রচ্ছদে পিয়ানোয় মগ্ন লোরকার সেই চিরচেনা ছবিটি। যে পিয়ানোর মধ্য দিয়ে কিছুক্ষণ আগেই আমি তাঁর স্পর্শ নিয়ে এসেছি।

No comments

Powered by Blogger.