নির্বাচন, আন্দোলন, না কারজাই মার্কা সরকার? by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

আমাকে একজন সবজান্তা সাংবাদিক ভেবে অনেকেই যে কথাটা আমার কাছে জানতে চান, সে কথা জানতে আমার নিজেরও খুব ইচ্ছে। দেশে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হচ্ছে কি হচ্ছে না? আগামী ঈদের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে বিরোধী জোট বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনে যাচ্ছে কি যাচ্ছে না? আন্দোলনের নামে দেশে আবার সন্ত্রাস ও ভাংচুর শুরু হলে দেশের রাজনীতিতে অচলাবস্থা, না কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তির অভ্যুদয় ঘটবে?
কী আছে আমাদের কপালে? কেউ বলতে পারে না। আমি নিজেও জানি না। কেবল অনুমান করতে পারি এবং আর দশজনের মতো সেই অনুমাননির্ভর আলোচনা করতে পারি। এটা একটা শুভ লক্ষণ দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে এবং প্রধান দুটি দলই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে গেছে। বিএনপি এখন আর হরতালের নামে ভাংচুরের পথে যাচ্ছে না। খালেদা জিয়া যেসব কথা বলছেন, তা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিভিন্ন সভায় তার সরকারের উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি দিচ্ছেন এবং দেশের মানুষের কাছে নৌকার জন্য ভোট চাইতে শুরু করেছেন।
কিন্তু এই শুভ লক্ষণ পাল্টাতে কতক্ষণ? বাংলাদেশের প্রকৃতির মতো তার রাজনীতির চরিত্রও ‘ভোলাটাইল’। কেউ কেউ বলেন, ‘আনপ্রেডিকটেবল’। এই দেখা গেল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে। তারপরই হঠাৎ দেখা যেতে পারে, অবস্থা পাল্টে গেছে। দু’দলই রণসাজে সজ্জিত এবং ভাংচুর চলছে রাজপথে।
গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এক টেলিভিশন টকশোতে রাজনীতিক এবং সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি কথা বলেছেন। তার বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘বিরোধী দল গোলপোস্টটি খুঁজে পাচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা গোলপোস্ট এতবার সরিয়ে নিচ্ছেন যে, তাতে কেউ যত ভালো খেলোয়াড় হোন গোল দিতে পারছেন না। সবাই শুধু মাঠে দৌড়াদৌড়ি করছেন। গোলপোস্টের কাছে গেলেই সেটা ফট করে সরে যাচ্ছে।’
এটা পরিস্থিতির একটা কাছাকাছি চিত্র। প্রশ্ন হচ্ছে, আসলে গোলপোস্টটা কি? একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান, না সেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি নিয়ে অনন্তকাল দ্বন্দ্ব? বাংলাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, যেমন দলীয় সরকারের অধীনে, তেমনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও কারচুপি, কারসাজি হয়েছে। প্রথম খালেদা সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত মাগুরা উপনির্বাচনে এবং ১৯৯৬ সালের ফেব্র“য়ারির তথাকথিত সাধারণ নির্বাচনে যে নির্লজ্জ ভোট জালিয়াতি হয়েছিল, তার ফলে দেশব্যাপী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি উঠেছিল। তাও অনন্তকালের জন্য নয়, পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকবারের জন্য।
সেই পরীক্ষায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সততা ও নিরপেক্ষতা প্রমাণিত হয়নি, বরং বিএনপি ও তাদের দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের সহযোগে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাটিকে যেভাবে কলুষিত করা হয়েছিল, তাতে এ ব্যবস্থার ওপর প্রধান উদ্যোক্তা দল আওয়ামী লীগও আস্থা হারায়। তখনই দাবি ওঠে পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে, তাতে ফিরে যাওয়ার। কেবল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনটি যে নিñিদ্রভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে তার নিশ্চিত ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমানে কোনো সামরিক শাসকের কলমের আঁচড়ে নয়, একটি নির্বাচিত সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বাভাবিক ও প্রচলিত পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া হয়েছে। অমনি চারদিকে হইচই পড়েছে- না, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান চলবে না। কারণ তাতে নাকি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা নেই।
আমার প্রশ্ন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনেই কি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার নিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়নি? সিটি কর্পোরেশনগুলোর সাম্প্রতিক পাঁচটি নির্বাচন, পৌরসভাগুলোর নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনগুলোতে কি এই নিশ্চয়তা বর্তমান সরকার সৃষ্টি করেনি? বর্তমান আওয়ামী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো ধরনের একটি নির্বাচন সম্পর্কেও তো বিএনপি কোনো প্রকার কারচুপির অভিযোগ তুলতে পারেনি।
প্রথমদিকে তারা এই ধুয়া তুলে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন বর্জন করলেও পরবর্তী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনগুলো বর্জন করেনি, বরং নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে জেনেই তাতে অংশ নিয়েছে এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে। তারপরও দলীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে না, বাতিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে বলে তাদের এই জেদ ধরা কেন? মজার ব্যাপার এই যে, বিএনপির এই জেদ ধরার কাজে দেশের একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী, মিডিয়া এবং সংবিধান বিশেষজ্ঞ হওয়ার দাবিদার এক ব্যক্তিও তাল দিচ্ছেন।
এখানেই আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে আমার একটু মতপার্থক্য। তার বর্ণিত গোলপোস্টটি যদি একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনকে বোঝায়, তাহলে ক্ষমতাসীন দল তা সরাচ্ছে না বা সেই লক্ষ্য থেকে তারা নিজেরাও সরে যাচ্ছে না। সরে যাচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতির প্রশ্নে দুই দলেরই অবস্থান। এখন দুই দলেরই গোলপোস্ট নির্বাচন নয়, নির্বাচনের পদ্ধতি বলে অনুমিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির দাবিতে বিএনপি অনড় থাকার ভাব দেখালেও বুঝতে অসুবিধা হয় না, শেখ হাসিনাকে সরকারপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে যে কোনো ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থাতেও তারা নির্বাচনে যেতে রাজি।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিএনপির খেলাটা বুঝে ফেলেছেন। ২০০১ সালে শেখ হাসিনা যথাসময়ে, সরল আন্তরিকতার সঙ্গে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। এই সরকারের রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন তারই মনোনীত ব্যক্তি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন তারই পছন্দ করা বিচারপতি লতিফুর রহমান।
তারপরই নাটকীয়ভাবে পটপরিবর্তন। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় বসেই শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবনের টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। তার নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রত্যাহার করে। সাহাবুদ্দীন-লতিফুর দুই বিচারপতিই আওয়ামীবিদ্বেষী একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ, তথাকথিত সুশীল সমাজের সদস্য, নিরপেক্ষতার ভেকধারী সম্পাদক- অর্থাৎ একটি বিশেষ কোটারি দ্বারা বেষ্টিত হয়ে পড়েন এবং তাদের পরামর্শে চালিত হতে থাকেন। এই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের সময়েই আওয়ামী লীগের কর্মী, নির্বাচন-প্রার্থী, ভোটার ও সমর্থকদের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। এ সময় পূর্ণিমা শীলদের মতো নাবালিকাদের ওপর পৈশাচিক গণধর্ষণের কাহিনী তো এখন ইতিহাস।
২০০১ সালে শেখ হাসিনা দেখেছেন কীভাবে তার সরলতা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আনুগত্যের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত তারই হাতে গড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে নানা কৌশলে ও প্রলোভনে হাতের মুঠোয় নিয়ে শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটিকেই ব্যর্থ করেনি, আওয়ামী লীগের ওপর নির্যাতন চালানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। পরবর্তী নির্বাচনের সময়ও তারা দেখেছে, দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে ম্যানুপুলেট করে কীভাবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটিকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার এবং গোটা পদ্ধতিটিকেই ব্যর্থ ও কলুষিত করা হয়েছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারই কোটির ঊর্ধ্বে জাল ভোটার সংবলিত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং একটি তাঁবেদার নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বনিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার অবৈধ কার্যকলাপের প্রতিবাদেই চারজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের উচ্চকণ্ঠ সমর্থক, হঠাৎ বুদ্ধিজীবী, সাবেক আমলা আকবর আলি খানও।
শেখ হাসিনা বারবার আছাড় খেয়ে বর্তমানে পথচলা শিখেছেন। তিনি যে নির্বাচন চলাকালেও যে কোনো ধরনেরই সরকারের প্রধান থাকতে চান, তার উদ্দেশ্য নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার বা তা ম্যানুপুলেট করা নয়; সে ক্ষমতা নির্বাচনকালীন সরকারের থাকবে না সে কথা আগেই তিনি বলে দিয়েছেন। তিনি চান নির্বাচনকালে বিএনপি-জামায়াত জোট এবং তাদের সমর্থক তথাকথিত সুশীল সমাজটি যাতে ২০০১ সালের মতো আবার ঘোট পাকাতে না পারে এবং চক্রান্ত দ্বারা আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করে ফেলতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি রাখা এবং তা ব্যর্থ করা। এ জন্য সংসদ বাতিল না করেই নতুন সংসদ নির্বাচনের কথা বলছেন।
এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নির্বাচন যাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় এবং দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করার ব্যবস্থা আলোচিত হতে পারে। নির্বাচনই হচ্ছে এ সময়ের গোলপোস্ট, নির্বাচন পদ্ধতি গোলপোস্ট নয়। আর শেখ হাসিনা নির্বাচন-সংক্রান্ত যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছেন, তার লক্ষ্য গোলপোস্ট সরানো নয়। বরং নির্বাচন পদ্ধতির সুযোগে ২০০১ সালের মতো ফাউল গেম দ্বারা বিএনপি ও তথাকথিত সুশীল সমাজটি যাতে গোলরক্ষকবিহীন অবস্থায় গোলপোস্টে তাদের বলটি একতরফাভাবে ঢুকিয়ে দিতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। এ ব্যবস্থা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কিছুমাত্র অন্তরায় বিবেচিত হলে অবশ্যই তা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হতে পারে। সে জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাতিল ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে কেন?
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ২০০১ সালে যে তথাকথিত সুশীল সমাজ, চরিত্রভ্রষ্ট বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়া এবং নানা কিসিমের দলছুট ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিকরা মিলে আওয়ামী লীগবিরোধী শিবির তৈরি করে সাহাবুদ্দীন-লতিফুর রহমান সরকারকে ঘেরাও করে ফেলে তাদের পরামর্শমতো চলতে বাধ্য করেছিল, ২০০৮ সালে এক-এগারোর সেনাতাঁবেদার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন দিয়ে তাদের মাইনাস টু থিওরি সফল করার কাজে সাহায্য জুগিয়েছিল। সেই পরিচিত মুখগুলো, একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট, আইনজীবী- ২০১৩ সালেও আরেকটি নির্বাচন সামনে নিয়ে জোট বেঁধেছেন এবং ব্যর্থ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে বিএনপিকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করে প্রয়োজনে জামায়াত ও হেফাজতিদের ক্ষমতায় যেতে সাহায্য জোগাতে দ্বিধাগ্রস্ত নন।
বিএনপি যদি এই সুযোগসন্ধানী ও সুবিধাবাদীদের পরামর্শে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে অনড় থেকে নির্বাচনে না যায় তাহলে ভুল করবে। আন্দোলনের নামে জামায়াত ও হেফাজতিদের সাহায্যে জনপদে, রাস্তাঘাটে ভাংচুর করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারবে না এ কথা গত কয়েক মাসের অভিজ্ঞতা থেকে তারা বুঝে ফেলেছে। তারা যা করতে পারে তা হচ্ছে দেশে একটি রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি করা এবং তার সুযোগে বিদেশী পৃষ্ঠপোষকদের সহায়তায় তথাকথিত সুশীল সমাজকে (ইউনূস সেন্টারসহ) দেশে একটি অনির্বাচিত কারজাই মার্কা সরকার চাপিয়ে দেয়ার কাজে সাহায্য জোগানো। তাতে বিএনপি লাভবান হবে না, নিজের অস্তিত্ব ধ্বংস করবে।
আমার বিশ্বাস (এবং একান্ত প্রার্থনা) দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন হবে এবং তা সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। বিএনপি এবং সব দলের অংশগ্রহণেই নির্বাচনটি হবে। এখন যারা বিএনপির ঘোষিত ও অঘোষিত সমর্থক হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সরকারবিরোধী ভূমিকায় নেমেছেন এবং বাঘ সেজে খালি মাঠে তর্জন-গর্জন করছেন, নির্বাচন এলেই দেখা যাবে এরা পোষা পেপার টাইগার, আসল টাইগার নয়।

No comments

Powered by Blogger.