পাক জল্লাদ সাবিরের বসে খাওয়ার দিন শেষ!

একসময়ে কাজের চাপে নিশ্বাস ফেলার সময় পেতেন না সাবির? ২০০৫ থেকে ২০০৮, এই তিন বছরে ২০০ অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন? কিন্তু তারপর? তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির নির্দেশে হঠাৎই মৃত্যুদণ্ড রদ হয়ে গেল পাকিস্তানে? রাতারাতি বেকার হয়ে গেলেন সাবির?
কিন্তু জারদারির উত্তর পাকিস্তানে খেটে খাওয়ার দিন হয়তো ফের ফিরতে চলেছে সাবিরের জন্য। লাহোরের কোট লাখপত জেলের সরকারি জল্লাদ সাবির মাসিহ? ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট জারদারির ঘোষণার পর থেকে যার একমাত্র কাজ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারা? মাসের শুরুতে অবশ্য অন্য আরেকটি কাজ করেন তিনি? তা হল সরকারের কাছ থেকে বেতনের আট হাজার টাকা তুলে আনা? এরপর মাসের বাকি দিনগুলো আলস্যে কাটে? ফাঁসি দেয়ার অভ্যাসটাই চলে যেতে বসেছে? এমনই সময়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মৃত্যুদণ্ডকে আবার ফিরিয়ে আনা হবে? কাজেই, আসি-যাই, মাইনে পাই-এর সরকারি অভ্যাস ছাড়ার দিন ঘনিয়ে আসছে সাবিরের?
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের কারাগারগুলোতে প্রায় আট হাজার কয়েদি মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় রয়েছে? এদের অনেকেই জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত? সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারি ভেবেছিলেন, নরম মানসিকতা দেখালে হয়তো জঙ্গিদের দৌরাÍ্য বন্ধ হয়ে যাবে? কিন্তু বাস্তবে তেমন হয়নি? তাই বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ঘোষণা, ফিরিয়ে আনা হবে মৃত্যুদণ্ড?

No comments

Powered by Blogger.