সিন্ধুরক্ষক থেকে আরেকটি লাশ উদ্ধার

আইএনএস সিন্ধুরক্ষক
রয়টার্সের ফাইল ছবি
ভারতীয় নৌবাহিনীর দুর্ঘটনাকবলিত ডুবোজাহাজ আইএনএস সিন্ধুরক্ষকে অভিযান চালিয়ে গত শনিবার আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে সেখান থেকে মোট ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হলো। নৌবাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তাঁরা একটি তৃতীয় স্থান দিয়ে নিমজ্জিত ডুবোজাহাজটির ভেতরে ঢুকে নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ওই নাবিকদের সবাই মারা গেছেন। শনিবার রাতে ডুবুরিরা ষষ্ঠ নাবিকের দেহাবশেষ উদ্ধার করেন। তবে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাঁকে চেনা যাচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষা ও পোস্টমর্টেমের জন্য লাশটি জে জে হসপিটালে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় ডুবোজাহাজটি ডেটোনেটর ও টর্পেডোতে ভর্তি ছিল। তাই জাহাজে থাকা নাবিকদের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডুবোজাহাজের আশপাশের পানি এখনো উত্তপ্ত বলে ডুবুরিরা জানিয়েছেন। নৌবাহিনীর উদ্ধার অভিযানের পাশাপাশি নরওয়ে ও সিঙ্গাপুরের দুটি উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান সিন্ধুরক্ষক বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণেরও চেষ্টা করছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে বহুজাতিক কোম্পানি লারসেন অ্যান্ড টুবরোও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ডুবোজাহাজটি উদ্ধারের সামর্থ্য ভারতীয় নৌবাহিনীর নেই। খুবই কম প্রতিষ্ঠানের এ সামর্থ্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পর আমরা টেন্ডার ডাকব। উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করতে কত সময় লাগতে পারে, তা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’ বস্তুত ডুবে যাওয়া সিন্ধুরক্ষককে উদ্ধারের অভিযান সময়সাপেক্ষই হবে। বেশ ভারী ধরনের সরঞ্জাম ছাড়া আড়াই হাজার টন ওজনের আইএনএস সিন্ধুরক্ষককে সাগরতল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। গত মঙ্গলবার মুম্বাই ডকইয়ার্ডে ভিড়ে থাকা আইএনএস সিন্ধুরক্ষকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন ধরে গিয়ে জাহাজটির বেশির ভাগ ডুবে যায়। এতে জাহাজটিতে থাকা দুই কর্মকর্তাসহ ১৮ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে নৌবাহিনী প্রধান ডি কে যোশী জানিয়েছেন। অন্য কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

No comments

Powered by Blogger.