যুদ্ধাপরাধীর বিচারে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ভূমিকা একপেশে

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীর বিচার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার ভূমিকা একপেশে। এমন মন্তব্য করেছেন নারী নেত্রী খুশি কবির।
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচার এবং দক্ষিণ এশিয়ায় মৌলবাদ রোধে বাংলাদেশের ভূমিকা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

যুদ্ধাপরাধ বিচারমঞ্চ এ সভার আয়োজন করে। খুশি কবির বলেন, আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বক্তব্য কোনোভাবেই সত্য না। একাত্তরে যে ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে এত বছর পরে হলেও আমরা সেই বিচার শুরু করতে পেরেছি।

নিয়ম অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। বিদেশিরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস না জানতে পারে, কিন্তু আমরা জানি। সাক্ষি প্রমাণের ভিত্তিতেই বিচার কাজ চলছে।

এ সময় রাষ্ট্রপতি যেন বিশেষ ক্ষমতা বলে কোনো যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা না করেন সে দাবিও জানান তিনি।

ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. এম এ হাসান বলেন, আমরা সব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে পারছি না। দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং শান্তি থাকবে বলেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবি করা কোনো দলের কাজ নয়। তাই যে কোনো দলের দুষ্টু লোককে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হলে দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কারণ আমার মায়ের লজ্জা হরণের বিচার যদি না হয়, তাহলে পাশের বাড়ির চুরির ঘটনা আমার কাছে সামান্য মনে হবে। একইসঙ্গে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা উঠে যাবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি খালেদুর রহমান শাকিলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, প্রজন্ম ৭১’এর সভাপতি শাহীন রেজা নূর, যুদ্ধাপরাধ বিচারমঞ্চ সুইডেন কমিটির আহ্বায়ক শেখ তাসলিমা মুন, কানাডা থেকে আগত সাংস্কৃতিক কর্মী অনন্ত আহমেদ, সুইডেন থেকে আগত ঢামেকসু’র সাবেক ভিপি ড. ফরহাদ আলী খান।

No comments

Powered by Blogger.