আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে অর্থসাহায্য দেওয়া হয়েছে: ইরান

আফগানিস্তানের পর এবার ইরান স্বীকার করেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে তারা কাবুলকে নগদ অর্থসাহায্য দিয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা আনার জন্য তারা এ সাহায্য করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন মেহমানপারাস্ত গতকাল মঙ্গলবার এ কথা বলেছেন।
এর আগের দিন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ইরানের কাছ থেকে তাঁর চিফ অব স্টাফের অর্থ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এর মধ্যে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য নেই। বন্ধুপ্রতিম একটি দেশের কাছ থেকে সাহায্য হিসেবে এ অর্থ নেওয়া হয়েছে।
রামিন মেহমানপারাস্ত বলেন, আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ইরান উদ্বিগ্ন। দেশটির পুনর্গঠনে অর্থসাহায্য দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইরান তার দিক থেকে ভূমিকা পালন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। তবে সাহায্যের ধরন কেমন হবে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।
হামিদ কারজাইয়ের স্বীকারোক্তির পর হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, অর্থ দিয়ে আফগানিস্তানের ব্যাপারে ন্যক্কারজনক হস্তক্ষেপ করছে ইরান।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি মুখপাত্র বিল বার্টন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আফগানিস্তানে ইরানের ঘৃণ্য প্রভাবের ব্যাপারে মার্কিন জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ইরান সরকারের উচিত ছিল আফগানিস্তানের ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা। সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হিসেবে আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করা যাবে না—এটাই নিশ্চিত করা উচিত ছিল তেহরানের।
নিউইয়র্ক টাইমস গত শনিবার বলেছে, আফগান প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ উমর দাউদজাই ইরানের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ নিয়ে আসছেন। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কর্মকাণ্ডে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে তেহরান।

No comments

Powered by Blogger.