অতৃপ্তি থেকে গেল এ ম্যাচেও

‘আসলে আমার কী যে হলো আমি নিজেও জানি না। ওই মুহূর্তে উইকেটে যে থাকে সেই বলতে পারবে’—উত্তরটা তামিম ইকবালের। নিজের ভুলে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করার হতাশায় তখনো পুড়ছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৮০ রানের মাথায় ঠিক কী মনে করে অমন শট খেললেন? একটু আগেই অধিনায়কের মৃদু তিরস্কার উপহার পেয়েছেন। এই প্রাপ্তি অবশ্য আগের ম্যাচেও ছিল উইকেটে সেট হওয়ার পর আউট হয়ে যাওয়ায়। কাল শুনলেন সেঞ্চুরি না পাওয়ায়, খেলাটা শেষ করে আসতে না পারায়।
ভুল যে করেছেন এটা স্বীকার করেছেন তামিমও। ম্যাচসেরা হয়েও তাই সন্তুষ্ট নন এই ওপেনার। নিজেও মানছেন এভাবে উইকেট থ্রো করে আসা ঠিক হয়নি, ‘‘উইকেটে আমার পার্টনার, ড্রেসিংরুমের সবাই আমাকে বলে, ‘তামিম উইকেটে থাক’ কিন্তু আমার যে কী হয়ে যায় এর জবাব আমার কাছেও নেই।’’ এসব কথাবার্তা শুনলে মনে হতে পারে বাংলাদেশ বুঝি ম্যাচ হেরেছে। স্কোরকার্ড যা বলছে, ম্যাচটি আসলে তার চেয়েও সহজে জিতেছে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বিশাল জয়টাকে সাকিব আল হাসানের দল রূপ দিয়েছে মাঝারি আকারের জয়ে। অধিনায়কের অসন্তুষ্টিও এখানেই, ‘তামিমের উচিত ছিল ১০০ করা। আশরাফুলের উচিত ছিল ৮০/৯০ করে খেলাটা শেষ করে দিয়ে আসা। আমি চাইনি আজকে আমাকে ব্যাট করতে হোক।’ তবে ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরেছেন এতে অন্তত স্বস্তি পাচ্ছেন সাকিব, ‘কোনো দলের এতগুলো ব্যাটসম্যান রানে থাকলে কাজটা তো সহজই হয়ে যায়। যদি জানি যে কেউ না-কেউ অন্তত রান পাবেই তাহলে চাপটাও অনেক কমে যায়।’
সাকিবের যেটা স্বস্তি, হ্যামিল্টন মাসাকাদজার চিন্তাটা সেখানেই। কাল তারা মাঠে নেমেছিল ৮ জন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান নিয়ে, তার পরও পারেনি দুই শ করতে। উত্তরটা জানা নেই মাসাকাদজারও, ‘প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের শুরুটা দারুণ হচ্ছে। কিন্তু মাঝখানে এসে কীভাবে যেন খেই হারিয়ে ফেলছি। আজ (কাল) আমরা স্পিনারদের অনেক ভালো খেলেছি, কিন্তু উইকেট দিলাম নাজমুলকে। কেন এমন হচ্ছে আমিও ঠিক বুঝতে পারছি না। এর একটা সমাধান আমাদের বের করতেই হবে।’
মাসাকাদজারা উত্তর খুঁজতে থাকুন। সাকিবরা আপাতত তাকিয়ে আছেন চট্টগ্রামের দিকে, আগামী ম্যাচটি জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান তাঁরা।

No comments

Powered by Blogger.