বাংলাদেশ-লজ্জার বলি- ডাইসন

এত দিন এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট, তবে পালাবদলের পালায় এবার শিকারির ভূমিকায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার মূল্য দিয়ে চাকরি হারাতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলীয় কোচ জন ডাইসনকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ক্রিকেট বোর্ডের টানাপোড়েনে এমনিতেই সংকটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সংকট আরও ঘনীভূত হলো ডাইসনের বরখাস্তের ঘটনায়।
স্পনসর-সংক্রান্ত ঝামেলায় মূল ক্রিকেটারদের বিদ্রোহে বাংলাদেশের বিপক্ষে জোড়াতালি দিয়ে দল নামিয়ে দুই টেস্ট ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সবগুলো ম্যাচেই হারে এককালের পরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর থেকেই গুঞ্জন ছিল সরিয়ে দেওয়া হতে পারে সাবেক ওপেনার ডাইসনকে। মাঝপথে দায়িত্ব হারিয়ে স্বভাবতই হতাশ এই ৫৫ বছর বয়সী, ‘এই মুহূর্তে আমার কিছু বলতে ইচ্ছা করছে না’। ডাইসনের বদলে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী ডেভিড উইলিয়ামস। দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ণাঙ্গ কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসা সাবেক এই উইকেটকিপারের সঙ্গে ডাইসনের সম্পর্কটা উষ্ণ ছিল না কখনোই। প্রকাশ্যেই ডাইসনকে দায়িত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১১ টেস্ট ও ৩৬ ওয়ানডে খেলা উইলিয়ামস। শুধু কোচই নয়, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের ম্যানেজার ওমর খানকেও। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন ৩০০ উইকেট নেওয়া প্রথম স্পিনার ল্যান্স গিবস। ধারণা করা হচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দ্বিতীয় সারির দল খেলাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও বোর্ড ও প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনার মধ্যস্থতাকারী শ্রীদাথ রামফল বলেছেন, বোর্ডের উচিত সেরা ক্রিকেটারদেরই মাঠে নামানো।
২০০৭ সালে আরেক অস্ট্রেলিয়ান বেনেট কিংয়ের বদলে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডাইসন। পোর্ট এলিজাবেথে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তাঁর শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ওই জয়টা ছিল বিদেশের মাটিতে সাত বছর এবং সব মিলিয়ে দুই বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্ট জয়। তবে এই শুরু পরে আর ধরে রাখতে পারেননি। তাঁর অধীনে ১৯ টেস্টের মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হেরেছে ৯টিতেই, আর ড্র ৭টি। ২৫টি ওয়ানডেতে জয় মাত্র ৯টিতে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় তাঁর অধীনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা সাফল্য।

No comments

Powered by Blogger.