হাঁচি থামানোর প্রাকৃতিক উপাদান

এলাচ, আমলকী, আদা, তুলসি ইত্যাদি কাজে আসবে হাঁচি থামাতে।
সর্দি-জ্বর, অ্যালার্জি ইত্যাদি কারণে বিরামহীন হাঁচি হতে পারে। শরীর থেকে অস্বস্তিকর উপাদান কিংবা জীবাণু বের করে দেওয়ার জৈবিক একটি উপায় এই হাঁচি। তবে তা অনবরত চলতে থাকলে ব্যাপারটা যেমন বিব্রতকর তেমনি ডেকে আনতে পারে নানান জটিলতাও। এমতাবস্থায় বেছে নিতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদান।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল উপাদানগুলো সম্পর্কে।
দস্তা: বিরামহীন হাঁচি হলে দস্তা মানে জিঙ্ক আপনার পরম বন্ধু। প্রচুর পরিমাণে দস্তা আছে এমন খাবার কিংবা ‘সাপ্লিমেন্ট’ যে কোনোটাই বেছে নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করায় দস্তা অতুলনীয়। এর প্রাকৃতিক উৎসগুলোর মধ্যে আছে বাদাম, শিম, মটর ও শুঁটি-জাতীয় খাবারে।
কালো এলাচ: সবার রান্নাঘরেই এলাচ আছে, যা হাঁচি বন্ধ করতে পারে। এলাচের কড়া গন্ধ এবং এতে থাকা ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ ‘মিউকাস’য়ের প্রবাহ রোধ করে এবং অস্বস্তি সৃষ্টিকারী উপাদান বের করে আনে। অ্যালার্জিজনীত হাঁচিতে এটি বিশেষ কার্যকর। খেতে হবে চিবিয়ে।
আমলকী: পুষ্টিকর একটি ফল তা সবারই জানা। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, এতে থাকা শক্তিশালী ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ নাকের রাস্তা পরিষ্কার করে, ফলে হাঁচি থেমে যায়। খেতে পারেন সরাসরি কিংবা শরবত বানিয়ে। দিনে সর্বোচ্চ তিনবার আমলকীর শরবতে পান করা যায়।
আদা ও তুলসি: এই দুটোর মিশ্রণ সর্দি-জ্বর এবং অ্যালার্জি থেকে আরাম দেওয়ার একটি শক্তিশালী উপায়। এজন্য তিন-চারটি তুলসি পাতা ও ছোট এক টুকরা আদা পানিতে ফুটাতে হবে এবং সেই পানি পান করতে হবে। সরাসরি আদার বদলে আদার গুঁড়াও ব্যবহার করা যেতে পারে।
রসুন: এর গন্ধটা সবার কাছে সহনশীল না হলেও রান্নায় স্বাদ আনতে এই মসলা অনন্য, সেই সঙ্গে তাড়ায় অ্যালার্জিও। এতে থাকে এক বিশেষ সক্রিয় উপাদান ‘অ্যালিসিন’, যা বন্ধ নাক খুলে দিতে অত্যন্ত কার্যকর, পাশাপাশি বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কাঁচা-আদা সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিতে পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে
শুধু ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করে থাকা সবসময় ঠিক নয়। তাই অবস্থা বেগতিক দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে অ্যালর্জিজনীত কারণে হাঁচি হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে জানতে হবে অ্যালার্জির কারণ।
>>ছবির মডেল: শিহাব শাহরিয়ার।

No comments

Powered by Blogger.