ঢাকায় ইহুদিদের ফ্রিম্যাসন্স হল এখন ভূমি বিভাগের কার্যালয় by শফিক রহমান

ঢাকায় এক সময়ের ইহুদিদের ক্লাব ফ্রিম্যাসন্স হলটি এখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৩০২ বছর আগে লন্ডনে যে ‘ফ্রিম্যাসন্স’ আন্দোলন শুরু হয়েছিল তার ঢেউ এসে লেগেছিল উপমহাদেশের কলকাতা, করাচি, লাহোর, মাদ্রাজ, মুম্বাইসহ কয়েকটি শহরে। বাদ যায়নি ঢাকাও। তবে ১৯৭৮ সালে ঢাকায় ৬৭ বছরের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘটে। ওই বছর ঢাকা লজকে (ঢাকা কার্য‌কার্যালয়ের অফিশিয়াল নাম) চিঠি দিয়ে কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায় লন্ডস্থ ইউনাইটেড গ্রান্ড লজ (প্রধান কার্যালয়ের অফিশিয়াল নাম)। পুরনো নথিপত্র ঘেটে এমনটাই জানা গেছে।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টন মোড় থেকে গুলিস্তানের দিকে যেতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রায় পেছনের দিকে উঁচু প্রাচীর এবং উঁচু গেট ঘেরা উপনিবেশিক স্থাপত্য রীতিতে নির্মিত একটি দোতলা ভবন। পকেট গেট ঠেলে ভিতরে ঢুকলে আম-কাঁঠাল আর নিম গাছের ছায়া ঘেরা এক চিলতে ফাঁকা জায়গা। তা পার হয়ে ভবনটির মূল দরজার দিকে এগুলে চোখে পড়বে দেয়াল ঘেষে জ্যামিতিক কাটা-কম্পাসের প্রতীকী রূপ নিয়ে মনোগ্রাম সমৃদ্ধ পাথরে খোদাই করা একটি নামফলক। যেখানে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে ‘ফ্রিম্যাসন্স হল, ১৯১০’।
স্থানীয় প্রবীণদের বক্তব্য, বছর পঞ্চাশেক আগেও ভবনটিতে কিছু মানুষদের আসা যাওয়া ছিল। কিন্তু সেখানে সাধারণের প্রবেশ সম্ভব ছিল না। তাই কারো কারো কাছে ভবনটি ছিল ‘ইহুদিদের রহস্য ঘেরা ক্লাব’।
সাউথ এশিয়ান মনিটর’র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দেয়ালের নাম ফলকটি ছাড়া ভবনটির ইতিহাস আমাদের কিছু জানা নেই।’
যোগাযোগ করা হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানের সহায়তায় অনুমতি মেলে ‘৭০ পুরানা পল্টন’ শিরোনামের বাদামি মোটা কাগজে মোড়ানো এবং লাল ফিতায় বাধা ভারি একটি ফাইল দেখার। ফাইলের কাভার ওল্টাতেই পাতলা কাগজের কিছু নোটশিট। যেখানে শুধু মামলার নথি-পত্র তলব ও দাখিলের তথ্য। প্রায় শেষে দিকে আরও অনেক কাগজের মধ্যে পাওয়া গেল আকাশি রঙের ছোট একটি বুকলেট। যেটা মূলত একটি গঠনতন্ত্র। যার আলোকেই পরিচালিত হতো ঢাকা ফ্রিম্যাসন্স আন্দোলন। এর পরেই পাওয়া গেল একটি লিজ দলিল। ১৯২৮ সালের ২ মার্চ সাক্ষরিত ওই লিজ দলিলে বার্ষিক ১৩৫ রুপি (তৎকালীন প্রচলিত মূদ্রা) খাজনা প্রদানের শর্তে এক বিঘা সমপরিমাণ প্লটটি ঢাকা লজকে বরাদ্ধ দেয়া হয়। এসবের ফাঁকেই রয়েছে ইউনাইটেড গ্রান্ড লজের লেটার হেডে জনৈক ক্যাপ্টেন এ এম এম রহমানকে লেখা একটি চিঠি। সেখানেই ঘোষণা দেয়া আছে ঢাকা লজের কার্যক্রম বন্ধের।
১৯৭৮ সালের ২৩ জানুয়ারি ক্যাপ্টেন এ এম এম রহমানকে ‘ডিয়ার ব্রাদার রহমান’ উল্লেখ করে গ্রান্ড সেক্রেটারি জে. এ র‌্যাডফোর্ড লিখেছেন, ‘I have to inform you that as a result of the Dacca Lodge No. 3323 being erased by Grand Lodge on the 14th December 1977. The Dacca Lodge Welfare Society is effectively invalidates from this date.’
ওই নথিতেই রয়েছে প্লট ও ভবনসহ সবকিছু ঢাকা জেলা প্রশাসককে হস্তান্তরের তথ্য। পরে জেলা প্রশাসক ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্লট ও ভবনটিকে ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
এদিকে নথিতে ঢাকার তৃতীয় সাবজজ আদালতে ১৯৭৯ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদি করে ঢাকা লজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির (!) নাম নিয়ে দায়ের করা একটি দেওয়ানী মামলার তথ্য রয়েছে। ঢাকা জজকোর্টের রেকর্ড রুম থেকে জানানো হয় ১৯৮২ সালের ২৩ এপ্রিল ওই মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন তৃতীয় সাবজজ আদালত। পরে ১৯৮৪ সালে ওই পক্ষটি মামলাটি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়ানী আপিল বিভাগে গেলে ১৯৮৭ সালের ২২ জুন বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি এম এইচ রহমান এবং বিচারপতি এ টি এম আফজালের আপীল বেঞ্চ মামলাটিকে নিস্পত্তির জন্য ফের তৃতীয় সাবজজ আদালতে পাঠান। কিন্তু ওই আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অসহযোগিতায় মামলাটির সর্বশেষ অগ্রগতি এবং বাদি হিসেবে ঢাকা লজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নাম নিয়ে কারা রয়েছেন তা এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে ক্যাপ্টেন এ এম এম রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হয়। খোঁজ নেয়া হয়েছে তার বাসার ঠিকানায়। জে. এ র‌্যাডফোর্ডের চিঠিতেই ৭/১ হাটখোলা রোডের ঠিকানার কথা উল্লেখ রয়েছে। যদিও ওই ঠিকানায় এখন সেন্ট্রাল উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুতল ক্যাম্পাস। যার এক পাশে আরেকটি বহুতল ভবন। যেটিতে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ছিল কিন্তু বর্তমানে ফাঁকা।
আরেক পাশে দোতলা বাংলো টাইপের একটি বাড়ি। যার দোতলা কার্নিশে বড় করে লেখা রয়েছে ‘গ্লাস ভিউ’।
প্রথম দিন বাড়িটির মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া না গেলেও দ্বিতীয় দিনে পাওয়া গেল। খবর পেয়ে মধ্য বয়সী একজন দোতলার বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। ক্যাপ্টেন এ এম এম রহমানের নাম শুনেই বলে উঠলেন-‘আপেল ভাইদের কথা বলছেন? দাঁড়ান আমি নিচে আসছি।’ এসে বললেন, পাশের বাসায় দীর্ঘ দিন ভাড়া ছিলেন আপেল ভাইয়ারা। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সচিব হয়ে অবসরে গেছেন। কিন্তু তার অফিশিয়াল নামটা আমাদের জানা নেই। এ এম এম রহমান তাঁরই ছোট ভাই। কিন্তু এখন তারা কোথায় গেছেন সেটাতো জানা নেই। তবে শুনেছি আপেল ভাইয়া গুলশানে কোথাও উঠেছেন।
ঢাকার পল্টন মোড়ে এক সময়ের ফ্রিম্যাসন্স হল
তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশের ভবনটিও একই মালিকানার। তিনি পুরান ঢাকার কাজী নান্না মিয়া। তাঁর বড় ছেলে এ্যাডভোকেট মইনুল ইসলাম আপেল ভাইদের সম্পর্কে জানতে পারেন।
উঠে আসার সময় তার নামটি জানতে চাওয়া হলে জানালেন, তিনি হরদেও গ্লাস ফ্যাক্টরির মালিক ফজলুর রহমানে ছেলে তালিবুর রহমান।
পরামর্শ মতে পাশের ভবনটিতে যোগাযোগ করা হলে দেখা হয় এ্যাডভোকেট মইনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, সেতো অনেক দিন আগের কথা। তারা আমাদের এখানে ভাড়া ছিলেন। ওর পরেতো আর কোন যোগাযোগ ছিল না। এখন কোথায় আছেন তাও জানা নেই।
এদিকে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, লন্ডনে ফ্রিম্যাসন্স আন্দোলন শুরু হয় ১৭১৭ সালে। আর এই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ১৭২৯ সালে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে প্রতিষ্ঠিত হয় ফ্রিম্যাসন্স ক্লাব। এর ধারাবাহিকতায় ১৭৫৩ সালে মাদ্রাজে, ১৭৫৮ সালে মুম্বাইতে এ আন্দোলনের বিস্তৃতি ঘটে।
পাকিস্তান অংশে এর প্রথম শাখা স্থাপিত হয় ১৮৫৯ সালে লাহোরে। ১৯০৪ সালের ৪ এপ্রিল ক্লাবটি ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে ১৯১৬ সালে পুনরায় নির্মাণ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় পেশোয়ার, মুলতান, শিয়ালকোট, রাওয়ালপিণ্ডি, হায়দারাবাদ, কোয়েটা ও করাচিতে এর শাখা গড়ে উঠেছিল। বলা হয়, ওই সময় ফ্রিম্যাসন্স ক্লাব এতটাই প্রসারমাণ ছিল যে শুধু করাচিতে ২০টি এবং লাহোরে তিনটি শাখা গড়ে উঠেছিল।
তবে ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ফ্রীম্যাসোনরী আন্দোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং লজ ভবনগুলো বাজেয়াপ্ত করেন।
এদিকে ১৯১০ সালে ঢাকায় ফ্রিম্যাসন্স আন্দোলন শুরু হলেও ভূখণ্ডের এই অংশে ইহুদীদের আধিক্যের তেমন তথ্য পাওয়া যায় না। ১৯৪৭ সালে কলকাতায় চার হাজার ইহুদীর বসবাসের তথ্য জানাচ্ছে এশিয়ান জিউশ লাইফ। ওই একই সময়ে বাংলাদেশের এই অংশে ইহুদীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩৫ জন।
উপমহাদেশে বসবাসকারি ইহুদিরা প্রধানত বনি ইসরাইল ও বাগদাদি ইহুদি – এই দুই ভাগে বিভক্ত ছিলেন। তবে একটি পক্ষকে বাগদাদি বলা হলেও তারা মূলত ইউরোপিয় ইহুদি, যারা ক্রুসেডের সময় বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অনুমান করা হয় মোঘল আমলে ইউরোপিয়দের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি পেলে তখনই উপমহাদেশে তাদের আগমন ঘটে। কাপড়, সিল্ক, মসলিন ও মুক্তার ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের।
হোটেল রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ও তাদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো। যেমন, কলকাতায় তাদের উদ্যোগেই গড়ে উঠেছিল ট্রিংকা রেষ্টুরেন্ট ও গ্রান্ড হোটেল। আর ঢাকার গুলিস্তানে তাদের মালিকানায় ছিল রিজ রেস্তোরাঁ। তখনকার সময় ঢাকায় তেমন কোনো হোটেল না থাকায় সেই রিজ রেস্তোরাঁয়ই সরকারি-বেসরকারি অনেক অনুষ্ঠান হতো।
ফ্রেন্ডস সার্ভিস ইউনিটের ঢাকা প্রধান টোরেন্স মিউসের আমন্ত্রণে ১৯৫০ সালের ১৩ আগস্ট শেষবারের মতো ঢাকায় আসেন কবি-সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু। তাঁর সৌজন্যে রিজ রেস্তোরাঁয়ই নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
ওই পঞ্চাশের দশকেই রেস্তোরাঁটির হাত বদল হলে একই সঙ্গে তার নামও বদল হয়ে হয় ‘রেক্স’। রেক্স রেস্তোরাঁও ছিল ঢাকার বনেদি বাসিন্দা ও কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাস্থল।
তবে বাংলাদেশে সর্বশেষ দুটি ইহুদি পরিবারের অস্তিত্বের খবর পাওয়া যায় বিভিন্ন লেখায়। তার একটি রাজশাহীর কোহেন পরিবার। তাদের পূর্বপুরুষ এসেছিলেন ইরাক থেকে। ওই পরিবারেরই বিখ্যাত একজন মর্ডি কোহেন। তিনি প্রথমে রাজশাহীতে রেডিওতে ঘোষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৪ সালে ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার ডিআইটি ভবনের বাইরে পাকিস্তান টেলিভিশনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান। উদ্বোধনী দিনের অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন মর্ডি কোহেন। তার উপস্থাপনায় স্টুডিও থেকে প্রচার হয় একটি গানের অনুষ্ঠান।
দেখতে সুদর্শন মর্ডি কোহেন সহজেই টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় ঘোষক হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন। একসময় সংবাদ পাঠক হিসেবেও তিনি আবির্ভূত হন। এছাড়া খান আতাউর রহমান পরিচালিত নবাব সিরাজউদ্দৌলাসহ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন তিনি। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর তিনি তাঁর পরিবারসহ কলকাতা চলে যান। সেখানে তিনি তপন সিংহ পরিচালিত ‘সাগিনা মাহাত’ ছবিতে অভিনয় করেন।
মর্ডির এক ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স করেছেন। তিনি পরে ইসরায়েলের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তারা অনেকের কাছে কোহেন ব্রাদার্স নামে পরিচিত ছিলেন।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মর্ডি কোহেন ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরে গিয়ে তিনি মারা যান। কলকাতার নারকেলডাঙ্গায় তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বারোক পরিবারেও ছিলেন দুই ভাই। রহমিম এজরা বারোক এবং রহমিম ডেভিড বারোক। এজরা বারোক চাকমা রাজপরিবারের এক রাজকন্যাকে বিয়ে করেন এবং চন্দ্রঘোনায় বসবাস করতেন। তিনি বাংলাদেশ আমলে মৃত্যবরণ করেন। চন্দ্রঘোনা ক্যাথলিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। ইহুদি হলেও স্থানীয়দের কাছে তিনি খৃষ্টান বলেই পরিচিত ছিলেন। এডি এডওয়ার্ড নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ব্যবসায়ি এবং মহাজন হিসেবেও তার সুনাম ছিল। তার কোন সন্তান ছিলনা।
তার ছোট ভাই ডেভিড বারোক বসবাস করতেন চট্টগ্রাম শহরে। তিনিও একজন ধনি ব্যবসায়ি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মারা যান এবং তাকে চট্টগ্রাম ক্যাথলিক চার্চ এর কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। ডেভিড বারোক এর ছেলে জোসেফ বর্তমানে কানাডাতে বসবাস করছেন। এছাড়া ইউনুস দানিয়েল নামে আরেকজন ইহুদি ব্যবসায়ি চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। যার নামের কারনে অনেকেই তাকে ইরানি মুসলিম বা ইসমাইলি শিয়া বলে মনে করতেন। বলা হয়, বাংলাদেশে এখনও দু’একটি ইহুদি পরিবার আছেন কিন্তু পরিচয় গোপন করে চলছেন।
এদিকে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেও সন্ধান চলছে ঢাকার ফ্রিম্যাসন্স ও ফ্রীম্যাসনরীর। কিন্তু কারো যোগাযোগ মিলছে না। তাহলে মর্ডিই কি শেষ ইহুদি যিনি কলকাতার জীবন থেকে ঝরে পড়েছেন? দিনটা ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর। যা আবার মর্ডির প্রিয় বাংলাদেশের বিজয় দিবসও!
ফ্রিম্যাসন্স হলের নামফলক, প্রতিষ্ঠাকাল ১৯১০ সাল

No comments

Powered by Blogger.