রেমিট্যান্স: গত পাঁচ বছরে দেশে এসেছে ৭ হাজার ৪৪১ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার

বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা ও হুন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি অরোপের কারণে গত দুই বছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেব মতে গত পাঁচ বছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ হাজার ৪৪১ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা (১ ডলার ৮৮ টাক ধরে)।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সে জন্য বাজেটে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামীতে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলেও সরকার আশা করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিগত পাঁচটি অর্থবছরের মধ্যে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স নিম্নমুখী হলেও ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিদায়ী অর্থবছরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

উল্লেখ্য বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স জিডিপিতে ১২ শতাংশের বেশি অবদান রেখেছে। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো যথাক্রমে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, কুয়েত, ওমান, যুক্তরাজ্য, কাতার, ইতালি ও বাহরাইন।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকগণ  মনে করছেন,  ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বিশেষ করে অবৈধ হুন্ডি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

তারা মনে করেন, গত তিন বছর ধরে যেভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে তা ধরে রাখতে  হলে বিদেশে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা।

No comments

Powered by Blogger.