ঐক্য ধরে রাখতে পারলে জনগণের বিজয় নিশ্চিত: ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, অপশাসন দূর করতে জনগণের যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা সুসংহত করে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই জনগণের বিজয় নিশ্চিত।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে সুশাসন, জনগনের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমার দল ও জোট কাজ করছে।যারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা স্বাধীনতা বিরোধী।
ওদিকে, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,  জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো দাবি নির্বাচন কমিশন মানেনি, তারপরেও শুধু জনগণের ভোটের অধিকার আদায় করতে তারা নির্বাচনে যাচ্ছেন। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে সে নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আজ সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য  করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি উল্লেখ করেন, ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সরকারকে দাবি দিয়েছিলাম, সরকারের সঙ্গে সংলাপ করেছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছি কিন্তু তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উপরোন্ত তারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করেছেন। আমরা বারবার বলেছি কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা করা প্রয়োজন তা তারা করতে পারেননি। প্রশাসনে রদবদলের কথা বলেছিলাম। তাও হয়নি। ইভিএম বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। সেটাও করা হচ্ছে না। প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা প্রকাশ্যেই বলেছেন যে, পুলিশ যা করছে তা তার নির্দেশেই করছে। তার মানে এখন সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের যে গ্রেফতার করা হচ্ছে সেট্ও তার নির্দেশেই করা হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল উল্লেখ করেন,  প্রধান নির্বাচন কমিশনার  (সিইসি) র বোনের ছেলে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী হয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা পদে নিয়েআগ পেয়ে  সিইসি দেশের বাইরে গেলে  প্রবাসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এর মাধ্যমে সিইসি’র রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। 
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা  আরো বলেন, সিইসি নিজেই যখন নিরপেক্ষ নন তখন দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া,  নির্বাচন নিরপেক্ষ হবার বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের যে সন্দেহ রয়েছে তা দূর করতে কমিশন কোন পদক্ষেপও নেয়নি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ অবস্থায় জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা, গণজাগরণ সৃষ্টি করা এবং সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রধান লক্ষ্য। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন,বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে না ।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে চেতনা বাংলাদেশের উদ্যোগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ও দায়বদ্ধতা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা আর হিজড়ার কাছে সন্তান আশা করা
আলাল বলেন, নির্বাচন কমিশন  সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মতো  যা খুশি তা করতে পারবে না। কারণ ৩০০ আসনে একই দিনে নির্বাচন হলে প্রতি কেন্দ্রে গড়ে দুজন করে পুলিশ পড়বে। আর নির্বাচনের এজেন্টরা যতই চেষ্টা করুক দু’জন পুলিশ দিয়ে নির্বাচনে দুর্নীতি করতে পারবে না। যদি জাতীয়তাবাদী মানুষেরা সজাগ থাকে।

No comments

Powered by Blogger.