আরব লীগ সম্মেলন: সিরিয়ায় মার্কিন হামলা ইস্যুতে নীরব নেতারা

সৌদি আরবে সমবেত হয়েছেন আরব দেশগুলোর নেতারা। রোববার রিয়াদে আরব লীগের সম্মেলনে অংশ নেন তারা। কিন্তু এই সম্মেলনে যুদ্ধে জর্জরিত আরব দেশ সিরিয়ায় মার্কিন হামলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয় নি। তবে ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণার সমালোচনা করেছেন আরব নেতারা। তারা এই ঘোষণাকে ‘সারশূন্য ও অবৈধ’ আখ্যা দেন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের হামলা শুরুর একদিন পরই সম্মেলনে বসলেন আরব লীগের নেতারা। আঞ্চলিক এই জোটের মুখপাত্র ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের বলেন, আরব দেশগুলোর নেতারা সিরিয়ার সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে সিরিয়ার হোমস প্রদেশে চালানো মার্কিন হামলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয় নি। তারা সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন। একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তুলে শনিবার সিরিয়ায় বেপরোয়া হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট। এতে সমর্থন দিয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন ও কাতার। এক বিবৃতিতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা জানান। আর সিরিয়ায় মার্কিন হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিশর, ইরাক ও লেবানন। সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন আরব লীগের নেতারা। তারা জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘সারশূন্য ও অবৈধ’ আখ্যা দিয়েছেন।  জেরুজালেম ঘোষণার বিরোধিতা করে এবারের আরব লীগ সম্মেলনের নাম দেয়া হয়েছে ‘কুদস সম্মেলন’। আরবিতে জেরুজালেম শহরকে কুদস বলা হয়। সৌদি বাদশাহ সালমান বলেন, নিশ্চিতভাবে পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর ফিলিস্তিনের  প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ওয়াশিংটন জেরুজালেম ইস্যুতে সমঝোতার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এই অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় এটি বড় বাধা।
কাতার ও চার উপসাগরীয় দেশের কূটনৈতিক যুদ্ধের পর এটিই আরব লীগের প্রথম সম্মেলন। তবে এবারের সম্মেলনে  কাতার সংকটের বিষয়েও কোনো আলোচনা হয় নি। আল জুবায়ের বলেন, কাতার কোনো বড় বিষয় না। তাই এ বিষয়ে আলোচনা হয় নি। তার ভাষায়- ‘এটা কোনো বড় সমস্যা না। খুবই ছোট বিষয়।’সব দেশের সরকার প্রধান অংশ নিলেও আরব লীগের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না কাতারের আমীর। তার পক্ষে আরব লীগে নিযুক্ত কাতারের প্রতিনিধি এতে অংশ  নেন। আর ২০১১ সালে সিরিয়াকে আরব লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাই আরব দেশ হওয়া সত্ত্বেও আরব লীগের সম্মেলনে অংশ নিতে পারে নি সিরিয়া।

No comments

Powered by Blogger.