আপ বিধায়কদের সদস্যপদ বহাল দিল্লি হাইকোর্টে: স্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল
দিল্লির আম আদমি পার্টির (আপ) ২০ বিধায়কের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এরফলে বরখাস্ত হওয়া ওই বিধায়করা তাদের পদে বহাল থাকতে পারছেন।
আজ (শুক্রবার) আদালতের রায়ের পর দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গোয়েল ২০ বিধায়ককে বর্তমান বাজেট অধিবেশনে অংশ নেয়ার জন্য সম্মতি দিয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের ফলে আপ বিধায়করা স্বস্তি পাওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার বড় ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে। আদালতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পুনরায় শুনানি করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আপ বিধায়কদের বিভিন্ন দফতরের পরিষদীয় সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় তারা লাভজনক পদে আছেন- এমন অভিযোগে নির্বাচন কমিশন গত জানুয়ারিতে দলটির ২০ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করে। প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে সম্মতি দেয়ায় আপের ওই বিধায়কদের সদস্য পদ বাতিল যায়।
দলীয় বিধায়কদের অসাংবিধানিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো শুনানি ছাড়াই ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে সেসময় অভিযোগ করা হয়। এরপরেই আম আদমি পার্টি দিল্লি হাইকোর্টে এনিয়ে চ্যালেঞ্জ জানালে আজ (শুক্রবার) দিল্লি হাইকোর্ট আপের ২০ বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দিয়েছে। বিধায়কদের অযোগ্য ঘোষণা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আইনত ঠিক নয় বলে আদালত জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে পুনরায় শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে।
দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আপ প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। দিল্লির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বেআইনিভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট জনগনের পক্ষে রায় দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক ও কোলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘বিজেপি সম্পূর্ণ একটি অভারতীয় দল, যারা ভারতের সংবিধানের উপরে শুরু থেকেই আস্থা রাখে না। তারা মনে গায়ের জোরে, অস্ত্রের জোরে ও তাদের লোকেদের জোরে সবকিছু করবে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট যেহেতু আর এস এসের লোক সেজন্য তারা ভেবেছেন সবকিছুতে তাদের ইচ্ছাই স্থান পাবে। তাই সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আপের ২০ বিধায়কের সদস্য পদ খারিজ করে দেয়া হয়েছিল। আজকে হাইকোর্টের রায় তাদের ওপরে একটা চপেটাঘাত। দিল্লি হাইকোর্ট প্রমাণ করেছে সবার ওপরে ভারতের সংবিধান সত্য, সবার ওপরে ভারতের গণতন্ত্র সত্য এবং ভারতের বিচার ব্যবস্থাকে এত সহজে দমিয়ে ফেলা যাবে না।

No comments

Powered by Blogger.