মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করছেন নরেন্দ্র মোদি

নরেন্দ্র মোদি
দুই বছর পর ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হচ্ছে। নতুন মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে উত্তর প্রদেশসহ সেসব রাজ্যের দিকে, যেগুলোতে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন হবে। মন্ত্রিসভার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি সংগঠনেও রদবদল ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়টি এত দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ঠিক করে এসেছেন। এবার এ দায়িত্বটি পেয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গতকাল সোমবার দলীয় কার্যালয়ে সম্ভাব্য মন্ত্রীদের ডেকে নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। বিজেপি সূত্র বলছে, উত্তর প্রদেশ থেকে চারজনকে মন্ত্রী করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির নির্বাচনী শরিক আপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেল। এই দলটি গতকালই বিজেপির সঙ্গে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তর প্রদেশ থেকে আর যাঁদের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা, তাঁরা হলেন ব্রাহ্মণ নেতা মহেন্দ্র পান্ডে, অনগ্রসর নেত্রী সাবিত্রি ফুলে ও কট্টরপন্থী যোগী আদিত্যনাথ। গুজরাটে আগামী বছর ভোট। তাই এ রাজ্যের প্রতিনিধিত্বও বাড়ানো হবে। এখান থেকে পুরুষোত্তম রুপালা ও মনসুখভাই মান্ডাভিয়ার নামও শোনা যাচ্ছে। রাজস্থানের প্রতিনিধিত্ব করার সম্ভাবনা রাম মেঘাওয়াল ও পি পি চৌধুরীর।
পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং থেকে নির্বাচিত বিজেপির লোকসভা সদস্য সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার ১০ শতাংশ মন্ত্রী করা যায়। সে অর্থে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৮২ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন। বর্তমানে মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য ৬৬। সর্বানন্দ সোনোয়াল আসামের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেছেন। তাঁর স্থানে আসাম বিজেপির প্রবীণ নেতা রাজেন্দ্র গোহাইন ও রমেন ডেকার মধ্যে একজনের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো বদল ঘটছে না। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির হাতেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থাকছে। তাঁকে অতিরিক্ত দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয় কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সেই নীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলি মনোহর যোশী, যশোবন্ত সিং ও যশবন্ত সিনহাদের মন্ত্রিসভা এবং সংগঠনে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বর্তমান মন্ত্রিসভার নাজমা হেপতুল্লা ও কলরাজ মিশ্রও ৭৫ পেরোলেন। কলরাজ উত্তর প্রদেশের প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মণ নেতা। ভোটের আগে তাঁকে মন্ত্রির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কি না সে জল্পনাই এখন চলছে।

No comments

Powered by Blogger.